|
|
|
|
জেলে অস্বাভাবিক মৃত্যু অভিযুক্তের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
জেল হাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হল একটি ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থার টাকা আত্মসাৎ ও জালিয়াতিতে অভিযুক্তের। পুলিশ জানায়, রামপুরহাট ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজতলা পাড়ার বাসিন্দা গৌতম দালাল (৫৪) নামে ওই ব্যক্তি রামপুরহাট উপ-সংশোধনাগারে ছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ তাঁকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “মৃতের দেহে কোনও আঘাত ছিল না। কীটনাশক বা অন্য কোনও ভাবে মৃত্যুর সূত্র পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের জন্য দেহটি বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।”
কলকাতার একটি ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মঙ্গলবার গৌতম দালাল-সহ চার জনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ওই সংস্থার সংস্থার এজেন্টরা। অভিযোগ ছিল, ওই ব্যক্তি আর্থিক সংস্থার রামপুরহাট শাখা অফিসে টাকা দেখভালের কাজ করতেন। কিন্তু সেই টাকা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতেন না। যদিও গৌতমবাবু দাবি করেছিলেন, তিনি বহু দিন আগে ওই সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, পরে গৌতমবাবু ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’জনকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কারা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “জেল হাজতে নেওয়ার সময়ে মৃতের জামা কাপড় থেকে একটি ওষুধ মিলেছিল। জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, এই ওষুধ মাঝে মধ্যে খেয়ে থাকেন। শুক্রবার ভোর ৪টে ২০ নাগাদ বাবা কেমন করছে বলে ছেলে কর্মীদের জানান। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”
এ দিকে, মৃতের পরিবারের দাবি, মানসিক অত্যাচারে তাঁর মৃত্যু হয়েছে এবং পুলিশ সঠিক সময়ে পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানায়নি। রামপুরহাট হাসপাতাল সুপার জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ মতো মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তিন চিকিৎসকের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|