অবৈধ কয়লার ভাগ নিয়ে এলাকা তেতে ছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই। শুক্রবার তা-ই বড় আকার নিল। বীরভূমের কাঁকরতলা থানা এলাকার দু’টি গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ বাধল। বাড়ি ভাঙচুর, লুঠপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি, বোমাবাজিদিনভর কিছু বাদ গেল না। হৃদয় ঘোষ নামে স্থানীয় রসা গ্রামের এক বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়ে সিউড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জেলা পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী রয়েছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।” স্থানীয় ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিজয় বাগদি এবং এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অবশ্য অভিযোগ, “পুলিশ তৎপর হলে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত। অবৈধ কয়লা কারবারে পুলিশের প্রচ্ছন্ন মদত আছে বলেই এলাকা অশান্ত হয়ে পড়ছে।” পুলিশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।এলাকা সূত্রের খবর, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহের জন্য খয়রাশোলের কৃষ্ণপুর-বড়জোড় খোলামুখ খনি থেকে কয়লা মালগাড়িতে তোলা হয় কাঁকরতলার হজরতপুর সাইডিংয়ে। লাগোয়া দু’টি গ্রামের কিছু মানুষ পড়ে থাকা কয়লা কুড়াতে সেখানে নিয়মিত হাজির হন। পুলিশি পাহারা থাকলেও বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়। দিনকয়েক আগে অবৈধ কয়লা উদ্ধারে গিয়ে গ্রামবাসীদের অক্রমণের মুখে পড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল পুলিশ। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও কয়লার ভাগ নিয়ে দুই গ্রামের ঝামেলা বাধে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ১১টি কয়লা বোঝাই গরুর গাড়ি। এ দিন সেই অশান্তি থেকেই গোলমাল পাকে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও হয়। অবৈধ কয়লা কারবার বন্ধ করতে লাগাতার অভিযানের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
|
বন্যা ত্রাণ শিবির নির্মাণে ১০০ দিন প্রকল্পে যন্ত্র দিয়ে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। এই অভিযোগে শুক্রবার মাটি ভর্তি ট্রাক্টর ঘেরাও করে কাজ বন্ধ করে দিলেন মুরারইয়ের নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতের মুকলিশপুর-নওদা গ্রামের বাসিন্দারা। ব্লকের কর্মীরা গেলেও তাঁদের ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা। প্রয়োজনীয় আশ্বাস পাওয়ার পরে কর্মীরা ঘেরাও মুক্ত হন। মুরারই ২ ব্লকের বিডিও সোমনাথ পাল বলেন, “নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে সিউড়িতে ব্যস্ত আছি। খোঁজ নেব। তবে একশো দিন প্রকল্পের কাজ যন্ত্র দিয়ে করা বেআইনি। রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করা হবে।” কংগ্রেস পরিচালিত মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুহিনা বিবি বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে কী কাজ হয়, জানানো হয় না। মুকলিশপুর-নওদা সংসদে কাজের ওর্য়াক অর্ডারও আমাকে দেওয়া হয়নি।”
|
বোলপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে সভাপতি ও সম্পাদকের পদে পুনর্নিবাচিত হলেন কংগ্রেস সমর্থিত দেবকুমার দত্ত ও তৃণমূল সমর্থিত তপনকুমার দে। সর্বাধিক ৬৮টি ভোট পেয়ে সহ-সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন নির্দল প্রার্থী শৈলেনকুমার মিশ্র। আর এক সহ-সম্পাদক রূপে নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত সৌমিত্র ঘোষ। শুক্রবার জেতার পর তপনবাবু বলেন, “অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত, মেয়েদের নির্যাতন সংক্রান্ত মামলাগুলির জন্য বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট-সহ একাধিক পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের সহায়তায় বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগ নেব।”
|
ভোট কর্মীদের গাড়ির গতিবিধির উপর নজর রাখতে এ বার নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিপিএস ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত জানিয়েছেন, সাধারণত ভোট যন্ত্র ও ভোটের অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে কর্মীরা বিতরণকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গেলে, তাঁরা ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে না খবর দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জানতেই পারত না, তাঁরা কোথায় রয়েছেন। জিপিএস ব্যবহার করলে প্রতি মুহূর্তে প্রতিটি গাড়ির গতিবিধির উপর কলকাতায় বসে নজরদারি করা যাবে। কোথাও কোনও গাড়ি সমস্যায় পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এতে ভাল ফল পাওয়া গেলে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যেই জিপিএস ব্যবহার করা হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিস সূত্রে খবর, ভোট কর্মীদের গাড়ির গতি বিধির উপর জিপিএস পদ্ধতিতে নজরদারি সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বার নলহাটি কেন্দ্রে ২৪৭টি বুথের জন্য ১৩৯টি গাড়ি ব্যবহার করা হবে। এই পদ্ধতিতে নজরদারি করতে খরচ পড়বে ১ লক্ষ টাকা করে।
|
বিদ্যুৎ চুরিতে অভিযুক্ত সাঁইথিয়া ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর উত্তম সিংহকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার সাঁইথিয়া মোহনবাগান মোড়ে পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় কিছু লোকজন। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। দফতরের রামপুরহাট ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়র নারায়ণচন্দ্র রায় বলেন, “জরিমানা ও জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।” |