পাঁচিল টপকে চালকলে ঢুকে লুঠ চালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাতে খন্ডঘোষের বাঁকুড়া মোড়ের একটি চালকলের ঘটনা। আহত হয়েছেন কারখানার রক্ষী-সহ দু’জন। ওই রক্ষীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে অপর জনকে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, ‘‘চালকল মালিক আবদুল মালেক জানান, ওই চালকলে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা মজুত থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরা সিন্দুক ভাঙার চেষ্টা করেনি। বাইরে থাকা মাত্র হাজার ত্রিশেক টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে।” আবদুলবাবুর দাবি, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই এই হামলা। লক্ষ্য ছিল তাঁর ছেলে বা পার্টনার। পুলিশ সুপার জানান, গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার পর খন্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চালকলের আহত কর্মী বাপ্পা সোম। তাঁর দাবি, দুষ্কতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পুলিশ সুপার বলেন, “খন্ডঘোষ থানার পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের নাম শেখ মকসুদ ও শেখ মোজাম্মেল। বাড়ি স্থানীয় কামালপুর ও দুর্গাপুরে। দামোদরের পাড় থেকে এদের পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে দু’টি পাইপগান মিলেছে। অভিযোগকারীদের দ্বারা শনাক্তকরণের আবেদন জানিয়ে আজ, শনিবার তাদের আদালতে তোলা হবে।”
|
প্রদীপ তা খুনে জামিন আরও এক ধৃতের
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
জামিনে ছাড়া পেলেন বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সিপিএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন হত্যাকাণ্ডে ধৃত অন্যতম অভিযুক্ত উদয় মণ্ডল। শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে এই জামিন দিয়েছেন বর্ধমানের সিজেএম সেলিম আহমেদ আনসারি। গত ১৯ মার্চ উদয়বাবুকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। তারপর থেকে তিনি জেল হাজতে ছিলেন। ধৃত ১১ জনের মধ্যেপতিত পাবন তা- একমাত্র অভিযুক্ত, যিনি জামিনে ছাড়া পাননি। উদয়বাবুর আইনজীবি বিশ্বজিৎ রায় জানান, ২০ হাজার টাকার জামিনের বন্ডে সই করে ও বর্ধমান শহরে ঢোকা যাবে না, এই শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তিনি যে এলাকায় থাকবেন, সংশ্লিষ্ট থানায় তাঁকে সপ্তাহে তিন দিন হাজির হতে হবে বলে জানান বিশ্বজিৎবাবু। |