কল্যাণীতে নয়, রায়গঞ্জেই তৈরি হবে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল। মহারাষ্ট্রের ঠানেতে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীর এই ঘোষণার পরে বৃহস্পতিবার উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেন উত্তর দিনাজপুরের সদর রায়গঞ্জ। শহরের গায়ে পানিশালা এলাকার চাষি ও তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা শুরু করেন আবির খেলতে। ঢোল বাজতে শুরু করে। বাজতে থাকে ব্যান্ড। |
২০০৯ সালে কেন্দ্র রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচের এই হাসপাতাল গড়ার কথা ঘোষণা করেছিল। তার পর নানা টালবাহানায় তার কোনও কাজই এগোয়নি। এমনকী, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কল্যাণীতে এই হাসপাতাল করার কথাও উঠে যায়। পানিশালার কৃষিজীবী তফিল ইসলাম বলেন, “আশা করি সনিয়া গাঁধীর মন্তব্যই সব বিতর্কে জল ঢেলে দেবে। জমি হাতে নিয়ে বসে রয়েছি। কাজ শুরু হোক।”
এই হাসপাতাল তৈরির জন্য বছর আড়াই আগে পানিশালা এলাকার প্রায় ১১০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। ৮৪ জন কৃষিজীবী সেই জমির মালিক। তাঁরা হাসপাতাল তৈরির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পেলে স্বেচ্ছায় জমি দিতে প্রস্তুত। স্থানীয় প্রশাসনকে তাঁরা সে কথা তখনই জানিয়ে দেন। তাঁদের জমি নিয়েই ওই হাসপাতাল হোক দাবিতে ১০ জানুয়ারি মহাকরণ অভিযানও করেছিলেন ওই ইচ্ছুক চাষিদের অনেকেই। রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি বলেন, “চাষিরা আন্দোলন করে একাধিক বার স্বেচ্ছায় জমি দেওয়ার কথা জেলা প্রশাসনকে জানালেও রাজনৈতিক স্বার্থে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেনি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রায়গঞ্জেই ওই হাসপাতাল তৈরি হবে বলে সনিয়া গাঁধী এখন স্পষ্ট বলে দিয়েছেন।” |