বেহাল মহকুমা হাসপাতাল
রজা দিয়ে ঢুকলেই চোখে পড়বে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নোংরা। ওয়ার্ডের সামনে উড়ছে চায়ের কাপ, কাগজের ঠোঙা, খাবারের প্যাকেট। নর্দমায় নোংরা জল। এমনই হাল কান্দি মহকুমা হাসপাতালের।
এ তো হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাইরের ছবি। ওয়ার্ডের অন্দরের হালও তথৈবচ। ছাদে ঝুলছে ঝুল। ঘরের মেঝেয় ছড়িয়ে আছে নোংরা, প্লাস্টিক। হাসপাতাল সুপার মৃগাঙ্গ মৌলী করের বক্তব্য, “সাফাই করবে যে, সে লোক কোথায়! হাসপাতালে ২২ জন সাফাইকর্মী থাকার কথা। রয়েছে ১৩ জন। শূণ্যপদ ৯টি। এত কম লোকের পক্ষে হাসপাতালের ভিতর ও বাইরের বিরাট অংশ পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তবে শীঘ্রই পরিষ্কার করা হবে হাসপতাল চত্বর।” রোগীদের আত্মীয় সিরাজ শেখ বা প্রশান্ত ঘোষেদের অভিযোগ, “হাসপাতাল জুড়ে নোংরায় থিক থিক করছে। তবে সমস্যা শুধুই সাফাইয়ের নয়। চিকিৎসা পরিষেবাও অপ্রতুল।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক থাকার কথা ২৫ জন। অথচ রয়েছেন ২০ জন। কম রয়েছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীও। ৭১ জনের পরিবর্তে কর্মী আছেন ৫৬ জন। হাসপাতালের সবচেয়ে বেহাল অবস্থা শিশু বিভাগের। সেখানে রয়েছে ১৪টি শয্যা। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই অন্তত ৩০ জন শিশু ভর্তি থাকে। তাই এক বেডে একাধিক শিশুদের ভর্তি নেওয়াটাই দস্তুর মহকুমা হাসপাতালের। ওই ওয়ার্ডের এক স্বাস্থ্যকর্মীর কথায়, “উপায় নেই। কোনও শিশুকে বাড়ি পাঠানো সম্ভব নয়।” শিশু বিভাগের এই দুরবস্থার কথা স্বীকার করে মৃগাঙ্গবাবু বলেন, “শিশু ওয়ার্ডের জন্য নতুন একটি ভবন তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেই সেটি চালু হবে। তখন আর এত সমস্যা হবে না।” কান্দি পুরসভার পুরপ্রধান কংগ্রেসের গৌতম রায় বলেন, “মহকুমার কয়েক লক্ষ মানুষ ওই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু হাসপাতালে নিম্নমানের পরিষেবা মেলে। বার বার বলা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.