উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় শিল্পের জন্য ফেলে রাখার জমির তালিকা তৈরি করেছে শিল্প দফতর। সেই তালিকা ধরে শুরু হয়েছে জমি চিহ্নিত করার কাজ। সেই জমিতে শিল্প তৈরি করতে বণিকসভার মাধ্যমে এবং সরাসরি আগ্রহী সংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকার আলোচনা করবে বলে জানালেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই জমিতে কী শিল্প হবে এবং কোন ধরনের শ্রমিকদের কাজে নেওয়া হবে তা সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে পার্থবাবু জানিয়েছেন।
শুধু জমি ফেলে রাখা নয়, রানীনগর, ডাবগ্রাম শিলিগুড়ি এলাকায় বেশ কিছু জমিতে শিল্পের পরিবর্তে গুদাম তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই সংস্থাগুলিকেও গুদামের পরিবর্তে জমিতে শিল্প স্থাপন করার কথা বলবে রাজ্য সরকার। |
বৃহস্পতিবার বেলাকোবায় ভাওয়াইয়া উৎসবের উদ্বোধনে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সন্দীপ পাল। |
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলার বেলাকোবায় ২৩ তম রাজ্য ভাওয়াইয়া গানের প্রতিযোগিতা ও উৎসবের উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “শিল্পের জমিতে শিল্পই তৈরি করতে হবে। সে জন্য রাজ্য সরকার সরাসরি শিল্প সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসবে। শিল্পসংস্থার কাছে গিয়ে বোঝাবে রাজ্য সরকারই। শিল্পমন্ত্রীর কথায়, উত্তরবঙ্গে প্রচুর নতুন শিল্প সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।” পাশাপাশি এই এলাকায় যারা বিগত বাম সরকারের আমলে জমি নিয়ে ফেলে রেখেছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে বলে সিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন।
আগামী ৩ বছরের মধ্যে ফেলে রাখা জমিতে শিল্প করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে সময় দেওয়া হবে বলে শিল্পমন্ত্রী জানান। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য ভাওয়াইয়া উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে অবশ্য গান ও সাহিত্য নিয়েই তাঁর বক্তব্য সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। তবে বক্তব্যের শুরুতেই তিনি জানিয়ে দেন, শুধু মাত্র ভাওয়াইয়া গানের টানেই হাজার ব্যস্ততা সরিয়ে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের বেলাকোবায় এসেছেন। তিনি বলেন, “এর আগে উত্তরবঙ্গে অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করেছি। গতবারও ভাওয়াইয়া উৎসবে আসব বলেও আসতে পারিনি। সে কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলে আসতে পেরেছি। এসে খুব ভাল লাগছে।” আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিযোগিতা ও উৎসব চলবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা কমিটির সভাপতি বিধায়ক খগেশ্বর রায়। কলকাতা সহ সারা রাজ্যের ৩০টি কেন্দ্র থেকে প্রায় ১২০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছেন বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। |