|
|
|
|
সরস্বতী পুজো নিয়ে কলেজে দ্বন্দ্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কলেজের সরস্বতী পুজোর জন্য বরাদ্দ টাকা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া বনমালী কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। বৃহস্পতিবার এর জেরে কলেজের সরস্বতী পুজোর মণ্ডপে ভাঙচুর এবং কলেজের অধ্যক্ষকে দুপুর থেকে বিকেল অবধি ঘেরাও করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন অধ্যক্ষকে ঘেরাও করার কথা স্বীকার করলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কিছু সমর্থক বিভিন্ন দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দিতে গিয়ে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেছিলেন। এর সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই।” পাঁশকুড়া কলেজের অধ্যক্ষ নন্দন ভট্টাচার্য মন্তব্য করতে চাননি।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর সরস্বতী পুজো-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বেশ কয়েক হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পুজোর জন্য কলেজের অধ্যাপক-ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কমিটিও তৈরি হয়েছে। কিন্তু, কলেজের তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের একাংশের দাবি সরস্বতী পুজোর দায়িত্ব তাঁদের দিতে হবে। আর তাতেই আপত্তি অন্য গোষ্ঠীর। ছাত্র সংসদের সদস্য রবীন্দ্রনাথ মান্নার অভিযোগ, “কলেজের সরস্বতী পুজোর জন্য বরাদ্দ টাকা নিজেদের হাতে চেয়েছেন ছাত্র সংসদের কিছু তৃণমূল সদস্য। কলেজ কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিক ভাবেই তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা পুজোর মণ্ডপ ভাঙচুর ও অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে।” অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও ঘেরাও করার অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের টিএমসিপি নেতা শেখ জুনেইদ আহমেদ বলেন, “ইউনিয়ন অফিস সংস্কারের দাবি নিয়ে আমরা অধ্যক্ষকে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিলাম। অধ্যক্ষকে ঘেরাও করা হয়নি। পুজোর মণ্ডপ ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যে।” |
|
|
|
|
|