ফেব্রুয়ারির এই দ্বিতীয় সপ্তাহে পড়েও মুম্বইয়ে গত দু’দিন ধরে গা-শিরশিরে হাওয়া দিচ্ছে, তার মতোই এটা বিস্ময়জনক। কলকাতা যেখানে গরমে ঢলে পড়েছে, সেখানে মুম্বইয়ের সামুদ্রিক হাওয়ায় হাফ সোয়েটারের চিন্তা মাথায় আসাটা বেশি অবাক কাণ্ড, না কি এটা?
অপ্রত্যাশিত যে, পটৌডি খানদানের সঙ্গে সাময়িক সন্ধি হয়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।
মুম্বইয়ে ভারতীয় বোর্ডের এক উচ্চপদস্থ কর্তা দাবি করলেন, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়ে বোর্ড প্রবর্তিত প্রথম টাইগার পটৌডি স্মারক বক্তৃতায় শর্মিলা ও তাঁর বাড়ির লোকেরা থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন। বোর্ডের দাবি সত্যি কি না জানতে, শর্মিলার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া গেল না। রাতের দিকে অন্য এক সূত্রের মাধ্যমে শর্মিলা জানান, তিনি বোর্ডকে স্মারক বক্তৃতার অনুমতি দিয়েছেন। |
টাইগার পটৌডি স্মারক বক্তৃতা বোর্ড কেন গত বছরই চালু করল না, তা নিয়ে বোর্ডের অভ্যন্তরেও যথেষ্ট ক্ষোভ ছিল। পটৌডি স্মারক বক্তৃতা শেষ পর্যন্ত চালু করে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকা। গত বছর উদ্বোধনী বক্তৃতা দিয়েছেন ইমরান খান। আগামী ২৭ তারিখ দ্বিতীয় স্মারক বক্তৃতা দিতে আসছেন এক প্রবাদপ্রতিম অস্ট্রেলীয়। ও দিকে চেন্নাইয়ে ঠিক সাত দিন আগে বক্তৃতা দেবেন সুনীল গাওস্কর।
সাত দিনের মধ্যে একই লোকের জন্য দু’টি স্মারক বক্তৃতা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু চরম আশ্চর্যজনক হল যে, বোর্ড-শর্মিলা সঙ্ঘাতের পর সমাধানসূত্র বার হল কোথা থেকে? পটৌডি নিজেই বোর্ডের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে রেখেছেন। আইপিএলের বকেয়া টাকা নিয়ে করা সেই মামলা আজও প্রত্যাহার করা হয়নি। তা ছাড়া ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের ট্রফি পটৌডির নামে করা নিয়ে দু’পক্ষে প্রচুর গন্ডগোল হয়েছিল। এ দিন ভারতীয় বোর্ডের এক কর্তা বললেন, “শর্মিলাকে আমরা বোঝাতে পেরেছি যে, ঘরোয়া ভারতীয় সিরিজের ট্রফি তাঁর নামে করা যাবে না, কারণ ওটা আগেই ভারতীয় বোর্ডের প্রাক্তন সচিব অ্যান্টনি ডি’মেলোর নামে করা রয়েছে। ইংল্যান্ডে যখন ভারত- ইংল্যান্ড সিরিজ খেলা হয়, তখন সেই ট্রফিটা দেয় এমসিসি। সেখানে ট্রফি পটৌডির নামে করার কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু দেশের চালু ট্রফির নাম বদলানো যাবে না।” কর্তাটি আরও বলেন, “আইপিএল নিয়ে মামলাটা সরাসরি ভাবে আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে স্মারক বক্তৃতা যে চালু করব আমরা, তা তো আগেই বলেছিলাম। আর সেটা করেও দিলাম।”
এক বোর্ড সদস্য বললেন, “চেন্নাইয়ে সরাসরি শ্রীনিবাসনের অফিস থেকেই দৌত্যক্রিয়া হয়েছে।” এর বেশি কেউ কিছু জানেন না। মুখ খুলতেও চাইছেন না। শর্মিলা নিজেও যেন বক্তৃতার দিন আসা পর্যন্ত এ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে চান না। |