আইপিএলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না তেন্ডুলকর
সচিনপুত্রের প্রথম রোজগার চ্যারিটিতে দান
ইপিএলে অধিনায়কত্ব করছেন না সচিন তেন্ডুলকর। আইপিএল পুরোটাই খেলবেন। কিন্তু গত বছরের মতো মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সাধারণ প্লেয়ার হিসেবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা সচিন পরিষ্কার এই কথা জানিয়ে দিলেন আনন্দবাজারকে। বললেন, “ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দিয়েছি। হঠাৎ ক্যাপ্টেন্সি করার কোনও শখ নেই। নতুন কোনও কারণও তৈরি হয়নি।” তা হলে তাঁর নামটা হঠাৎ অধিনায়ক হিসেবে বাজারে ছড়াল কী করে? সচিন বললেন, “মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যানেজমেন্ট আমাকে জানিয়েছে ওদের থেকে এটা বেরোয়নি। অন্য কোথা থেকে খবরটা এসেছে।”
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সূত্রের অবশ্য খবর, খবরটা ঠিক হয়েই যেত, যদি নিলামে মাইকেল ক্লার্ককে টানতে পারত মুম্বই। পুণে ক্লার্ককে নিলামে কিনে নেওয়ায় সেই সম্ভাবনার আরব সাগরে সলিল সমাধি ঘটেছে। রোহিত শর্মাই সম্ভবত অধিনায়ক নির্বাচিত হবেন। কিন্তু ক্লার্ক টিমে খেললে তাঁর মাথার ওপর অবশ্য রোহিতকে বসানো হত না। সে ক্ষেত্রে একটাই উল্লেখযোগ্য নাম ছিলতেন্ডুলকর।
ক্রিকেটই মোক্ষ। সচিন ও অর্জুন।
বৃহস্পতিবার সচিন প্রায় চার ঘন্টা প্যাড পরে বসেও অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাটিং পাননি। রাহানে আর জাফরই খেলে দিয়েছেন। শুক্রবার ব্যাট হাতে নামার মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর। ২২ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট শুর হওয়ার আগে এটাই ড্রেস রিহার্সালের শেষ সুযোগ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর ২৫ বছর পূর্তির বছরেও সচিন সেই ড্রেস রিহার্সালের সুযোগ নিয়ে প্রচণ্ড মনঃসংযোগ করছেন। ওয়াংখেড়ের মাঠে চারটের পর খেলা গড়ালে ব্যাটসম্যানদের কী রকম অসুবিধে হচ্ছে সে ব্যাপারেও বক্তব্য রয়েছে তাঁর। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন তিনি। নিজের মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলে তাঁদের দেখিয়েছেন কী ভাবে বিকেলের দিকটায় কিছুটা ছায়া-কিছুটা রোদ্দুর ২২ গজ জুড়ে পড়ে থাকে। এতে ব্যাটসম্যানদের ওই সময় বল দেখতে খুব অসুবিধে হচ্ছে। সচিনের মতে, ঋদ্ধিমান সাহা এই লাইটের তারতম্যের জন্যই কাল চোট পেয়েছেন ও আজ সারা দিন কিপিং করতে পারেননি।
তবে সচিন মোটেই অভিযোগের ঝুলি নিয়ে বসে নেই। বরং তাঁর মধ্যে অনেক বেশি প্রশান্তি। প্রশান্তি বাবা হিসেবে। অনূর্ধ্ব ১৪ ক্রিকেট দলের হয়ে খেলতে গিয়ে সাড়ে ন’হাজার টাকা রোজগার করেছে অর্জুন। আর এ দিন পুরো টাকাটাই সে চ্যারিটিতে দান করে দিয়েছে। অভিভূত সচিন বলছিলেন, “আমি কিন্তু বলে দিইনি। ও নিজে থেকেই ‘আপনালয়ে’ (সচিনের চ্যারিটি সংস্থা) পুরো টাকাটা দিয়ে দিয়েছে।” তেন্ডুলকর পরিবারের এই প্রথা অবশ্য বরাবরের, যা শুরু করেছিলেন রমেশ তেন্ডুলকর। সব সময়ই দুঃস্থদের পাশে থাকতে হবে। নিজের সীমিত আয় থাকলেও দেখবে, তা দিয়ে অন্যদের সুবিধে করে দিতে পারছ কি না।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.