|
|
|
|
নিজ গৃহ নিজ ভূমি প্রকল্প |
জমি মাপতে আসা সরকারি কর্মীকে বাধা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এমনিতেই সময়ের মধ্যে কাজ এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ। তার উপর কাজে বাধা আসছে। এই সমস্যা ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পে। প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত জমির মাপজোক করতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন সরকারি কর্মী। ইতিমধ্যে তিনি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রতিলিপি পৌঁছেছে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছেও। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সঞ্জয় গুপ্তর বক্তব্য, “অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপও করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে জানিয়েছি।”
ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের খাসজঙ্গলে। ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পের জন্য এলাকায় একটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গতওই জমিটি খাস। সেই জমির মাপজোক করতে সোমবার এলাকায় গিয়েছিলেন রাজস্ব পরিদর্শক (আর আই) দুর্গা চক্রবর্তী। সঙ্গে আরও একজন কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, মাপজোক চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দা সুবোধ সিংহ তাঁর কাজে বাধা দেন। দুর্গাবাবু তাঁর অভিযোগপত্রে লিখেছেন, ‘সুবোধ সিংহ হঠাৎ আমার সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাকে বলেন, মাপজোক বন্ধ করে এই মুহূর্তে স্থান ত্যাগ না করলে এখানেই মেরে পুঁতে ফেলব।’ সুবোধবাবু চান না, তাঁর বাড়ির আশপাশে এমন কোনও প্রকল্প হোক। বাধা পেয়ে মাপজোক বন্ধ করে অফিসে ফিরে আসেন ওই পরিদর্শক।
সংবাদমাধ্যমের কাছে অবশ্য এ নিয়ে বিশদে জানাতে চাননি দুর্গাবাবু। শুধু বলেন, “যা জানানোর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমি কিছু বলব না।” সুবোধ সিংহের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সব ভূমিহীন মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলস্বরূপ ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পের গুরুত্ব বেড়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের নতুন সরকার শুরুতে এক লক্ষ উপভোক্তাকে জমি দিয়ে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এই জেলার জন্য বরাদ্দ হয় তিন হাজার বাড়ি। গত ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। প্রশাসনের অবশ্য বক্তব্য, কাজ এগোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কাজে গতি আনতে অনান্য জেলার মতো পশ্চিম মেদিনীপুরেও ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করার নির্দেশ দেয়। একেবারে গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করতে হবে বলে ওই নির্দেশে জানানো হয়। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যেই সরকারের এই নির্দেশ। |
|
|
|
|
|