বিদ্যুৎ দফতরের নেওয়া জরিমানা ফেরতের নির্দেশ |
কারচুপি করে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করেছিল বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি। আরামবাগের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, অন্যায় ভাবে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছিল। টাকা তিন মাসের মধ্যে ব্যবসায়ীকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালত ও বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কামারপুকুর শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাটের পুণ্ডহিত বাজারে দিলীপ পাল নামে এক ব্যক্তির ঘর ভাড়া নিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জামের ব্যবসা করেন সঞ্জয় কাসুন্দি নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে তিনি বাড়িওয়ালার মিটার থেকে সংযোগ নিয়েছিলেন। কয়েক বছর ধরে এ ভাবেই চলছিল তাঁর ব্যবসা।
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কামারপুকুর শাখার তৎকালীন স্টেশন ম্যানেজার (বর্তমানে খানাকুলে কর্মরত) বৃন্দাবন কর্মকার তল্লাশি চালিয়ে বেআইনি সংযোগ নেওয়ার জন্য ২০১১ সালের ২৭ জুন সঞ্জয়বাবুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা শুরু হয়। মামলা চলাকালীনই ৮০,৭৭০ টাকা জরিমানা দিতে হয় তাঁকে। রায় অবশ্য তাঁর পক্ষে গিয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অমরেন্দ্রনাথ রায় গত শুক্রবার রায় দেন, তিন মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিকে ওই টাকা ফেরত দিতে হবে সঞ্জয়কে। দেরি হলে ৯ শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে।
বৃন্দাবনবাবুর বক্তব্য, “আমাদের তরফে কোনও ত্রুটি ছিল না। দফতর এই রায় নিয়ে উচ্চ আদালতে যাবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেবে।” বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আরামবাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার চন্দ্রশেখর সেনগুপ্ত বলেন, “আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি পুরো খোঁজ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” অন্য দিকে, সরকারি আইনজীবী নব মজুমদার বলেন, “অভিযোগ দায়েরের ত্রুটিতে মামলা হারলাম।”
সঞ্জয়বাবুর আইনজীবী সুভাষ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “আমার মক্কেল কোনও কারচুপি করেননি। অন্যায় ভাবে জরিমানা আদায় করা হয়েছিল তাঁর কাছ থেকে।” আর কী বলছেন সঞ্জয় নিজে? ওই ব্যবসায়ী বলেন, “আদালতের রায়ে আমি খুশি। অপবাদও ঘুচল।” |