|
|
|
|
গোঘাটের স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিলেন সম্পাদক-সভাপতিই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
প্রধান শিক্ষক এবং অন্য শিক্ষকেরা খেয়ালখুশি মতো আসায় গোঘাটের রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিঘ্নিত হচ্ছে পঠনপাঠন, এই অভিযোগ অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের ছিলই। বৃহস্পতিবার একই অভিযোগ তুলে ওই স্কুলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিলেন পরিচালন সমিতির সভাপতি নবকুমার সিংহ এবং সম্পাদক অসিত নন্দী। আধ ঘণ্টা পরে তাঁরা নিজেরাই তালা খুলে দিলেও এ দিন আর পঠনপাঠন হয়নি। বাড়ি ফিরে যায় ছাত্রছাত্রীরা।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরামবাগের সাংসদ শক্তিমোহন মালিক। ঘটনায় তিনি তাজ্জব। তাঁকে ঘিরেও এ দিন বিক্ষোভ চলে। শক্তিমোহনবাবু নিজে এবং অন্য শিক্ষকেরাও এ দিন স্কুলে চলে আসেন পৌনে ১১টা নাগাদ। কিন্তু স্কুলের ফটকে তালা ঝুলতে দেখে তাঁরা অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে অবশ্য তালা খোলা হলে সকলে ভিতরে যান। সমস্যা নিয়ে পরে আলোচনার কথা জানিয়ে সভাপতি এবং সম্পাদক চলে যান বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|
প্রধান শিক্ষক শক্তিমোহন মালিকের সঙ্গে বাদানুবাদ। ছবি: মোহন দাস। |
এ ভাবে তালা ঝোলানো নিয়ে অসিতবাবু বলেন, “খারাপ দৃষ্টান্ত জেনেও এ ছাড়া উপায় ছিল না। প্রধান শিক্ষকের কাজ এবং সাংসদের ভূমিকা পালন এক সঙ্গে হয় না। একাধিকবার বৈঠক করে প্রধান শিক্ষক এবং অন্য শিক্ষকদের নিয়মিত স্কুলে আসার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কেউ কাউকে না জানিয়ে ছুটি নিয়ে নেন। ক্লাস ঠিকমতো না হওয়ায় অভিভাবকদের ক্ষোভ বাড়ছে।” ব্যস্ততার কারণে তিনি নিজে নিয়মিত স্কুলে আসতে পারেন না জানিয়ে শক্তিমোহনবাবু বলেন, “স্কুলে শিক্ষকদের অনিয়মিত আসা নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে তার দায় সম্পাদক ও সভাপতির উপরেও বর্তায়। পরিচালন সমিতির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারত। কিন্তু যা হল তা ভাল দৃষ্টান্ত নয়।”
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা পাঁচশোর বেশি। শিক্ষক-শিক্ষিকা ১৬ জন। পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন চার জন। বিজ্ঞানের এক শিক্ষিকা অসুস্থতার কারণে দু’মাসের ছুটিতে রয়েছেন। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা না থাকায় অষ্টম শ্রেণির ভৌতবিজ্ঞানের ক্লাস এখনও শুরুই হয়নি। সুভাষ দে, অনুপ ভঞ্জ, উমাকান্ত মণ্ডল প্রমুখ অভিভাবকের দাবি, স্কুলের পঠনপাঠন যাতে বিঘ্নিত না হয় তার ব্যবস্থা করা হোক। প্রধান শিক্ষক এবং অন্য শিক্ষকেরা যেন স্কুলে বেশি সময় দেন। |
|
|
|
|
|