|
|
|
|
সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
চিন, মায়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক বাড়াতে এ বার সেখানে বিপুল হারে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই সঙ্গে দেশ জুড়ে সামগ্রিক ভাবে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের জন্য দ্বাদশ যোজনা কালে ৩৮,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করল সরকার।
লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের এই ঘোষণার মধ্যে নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের রাজনীতিও রয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের কথাতেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জয়রাম বলেন, “এটা ঠিক যে বাজপেয়ী জমানায় প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কবিতা দিয়ে তো আর কাজ হয় না। গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের প্রকৃত কাজ শুরু হয়েছে ২০০৬-০৭ আর্থিক বছর থেকে।” এনডিএ জমানার সঙ্গে ইউপিএ-র তুলনা করে গ্রামের মানুষকে যে কংগ্রেস এ ভাবে বার্তা দিতে চাইছে, তাতে সংশয় নেই। তা ছাড়া লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে গ্রামীণ এলাকায় পুরনো রাস্তা সংস্কারের জন্যও মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে অর্থ বরাদ্দ করতে পারে সরকার।
তবে একই সঙ্গে জয়রাম জানান, আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রামগুলি খুবই পিছিয়ে রয়েছে। তার প্রধান কারণ, যোগাযোগের রাস্তা নেই। সেই কারণে অরুণাচল প্রদেশের দশ জেলায় প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭১৭টি গ্রামে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা এবং জম্মু-কাশ্মীরের ৪২০টি গ্রামে রাস্তা তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।
পশ্চিমবঙ্গে পাঁচশো-রও বেশি জনবসতি রয়েছে, এমন ৯৬০টি গ্রামে নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে।
সরকারের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, সীমান্ত এলাকায় গ্রামগুলিতে সড়ক নির্মাণ স্থানীয় মানুষের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক বাড়ানো ও বিচ্ছিন্নতার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করবে ঠিকই, তবে একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি ছিল। তবে বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, সরকারের এই সব ঘোষণা স্রেফ লোক দেখানো। চলতি অর্থবর্ষে গ্রামীণ সড়ক
নির্মাণের জন্য ২৪,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। |
|
|
|
|
|