তিনটি দুর্ঘটনায় ঝাড়খণ্ডে মৃত ১৬ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
তিনটি পৃথক দুর্ঘটনায় ঝাড়খণ্ডে গত ২৪ ঘন্টায় ষোল জনের মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের দু’টি বড় দুর্ঘটনা ঘটে। দু’টি ক্ষেত্রেই ট্রাকচালক মত্ত অবস্থায় থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি।
আজ সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ হাজারিবাগ জেলার বরকাগাঁও ব্লক থেকে ট্রাক ভর্তি করে শ্রমিকরা আসছিলেন হাজারিবাগ শহরের একটি নির্মাণস্থলে। পেলাবল থানা এলাকার ফাটাঘাটিতে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। পেলাবল থানার পুলিশ জানাচ্ছে, ঘটনাস্থলেই এক মহিলা শ্রমিক-সহ আট জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। অন্যান্যরা গুরুতর জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য রাঁচির রিমস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বাকীদের ভর্তি করা হয় হাজারিবাগ সদর হাসপাতালে। আহত ট্রাকের চালককেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। |
|
ক্রেন চাপা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়
জামশেদপুরের বর্মা মাইন্স এলাকা। বৃহস্পতিবার। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী |
বেলার দিকে গুমলাতে ট্রাক উল্টে মৃত্যু হয় সাত বরযাত্রীর। ঘটনাটি ঘটে গুমলা জেলার বিষণপুর থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, বিষণপুর ব্লক থেকে একটি বরযাত্রী বোঝাই ট্রাক যাচ্ছিল ঘাঘরা ব্লকে। ট্রাকে পঞ্চাশ জনেরও বেশি বরযাত্রী ছিলেন। পথে আদর নামে একটি জায়গায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ট্রাক থেকে ছিটকে পড়েন বরযাত্রীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জনের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিন জন মারা যান। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে গুমলা সদর হাসপাতালে। বিষণপুর থানার পুলিশ জানাচ্ছে, ট্রাকচালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলেই প্রাথমিকভাবে তাঁদের ধারণা। গাড়িটি বিপজ্জনক গতিতে চলছিল।
অন্য দিকে, আজ সকালেই জামশেদপুরের বর্মা মাইনস থানা এলাকায় হাইড্রো ক্রেনের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। ক্ষতিপূরণের দাবিতে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। |
|