|
|
|
|
চাপ বাড়ছে বিজেপির অন্দরে |
নরেন্দ্র মোদীর জন্য ময়দানে নামলেন ভগবত, গিরিরাজও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিলেন খোদ সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। মোদীর হয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা অশোক সিঙ্ঘলও।
গত কালই দিল্লির কলেজে ছাত্রছাত্রীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির বুকে মোদীর প্রথম সভার সাফল্যে যথেষ্ট খুশি সঙ্ঘ পরিবার। এর পরে আজই উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদে মহাকুম্ভে যান সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। সেখানে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়ে সরব হন একাধিক সাধু। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্মসংসদে ওই সাধুরা প্রকাশ্যেই জানান, মোদী প্রধানমন্ত্রী হলেই রামমন্দির নির্মাণ হবে। এই পরিস্থিতিতে মোদীকে ‘আমার বন্ধু’ সম্বোধন করে ভাগবত বলেন, “কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে সকলেই একই সুরে কথা বলছেন। কিন্তু বিষয়টি আমাদের এক্তিয়ারে পড়ে না। এটি দল (বিজেপি) ঠিক করবে।” ভাগবত এই কথা বললেও বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, মোদীর প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনই দেখিয়েছেন সঙ্ঘপ্রধান।
মোদীর হয়ে গত ক’দিন ধরেই সওয়াল করছে বিজেপি ও সঙ্ঘ শিবিরের একাংশ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা গিরিরাজ কিশোরও আজ বলেন, “গুজরাতে ভাল কাজ করে দেখিয়েছেন মোদী। ফলে তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হলে আপত্তি কীসের?” |
|
|
|
গিরিরাজ কিশোর |
নরেন্দ্র মোদী |
মোহন ভাগবত |
|
আজ কুম্ভে ধর্মসংসদে সন্ত বাসুদেবাচার্য বলেন, “মোদীকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হলে তাঁর প্রচারের জন্য আমি পুরো সময় দেব।” আর এক সাধু রামনুজাচার্য বলেন, “ইউপিএ বা এনডিএ কোনওটাই নয়, আমরা শুধু মোদীকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।”
সঙ্ঘ সূত্রের মতে, মোদীর ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু সঙ্ঘ ও বিজেপির অনেকেই মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনে জিততে হলে মোদীই তুরুপের তাস হতে পারেন। কিন্তু সঙ্ঘ ও বিজেপির একাংশের আবার বক্তব্য, মোদীকে এখনই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করলে বিপদ বাড়তে পারে। এমনিতেই মোদীকে নিয়ে জোটের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তার উপর মোদী যতই নিজেকে ‘বিকাশপুরুষ’ বলে তুলে ধরুন, গোধরার ভূত এখনও তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। আজই গুলবার্গ সোসাইটি মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্ট প্রয়াত কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রীর হাতে দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট, যা মোদী-বিরোধীদের অক্সিজেন যুগিয়েছে। মোদী যত প্রচারের কেন্দ্রবিন্দুতে আসবেন, ততই কংগ্রেসের দিক থেকে আক্রমণের ধার বাড়বে। দিল্লির কলেজে ছাত্রছাত্রীদের সভা নিয়ে বিজেপি ও সঙ্ঘ নেতৃত্ব প্রকাশ্যে যা-ই বলুন, কাল যে ছাত্রছাত্রীরা ‘মন্ত্রমুগ্ধ’ হয়েছিলেন, আজ তাঁদেরই অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের প্রশ্ন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি! মোদী-শিবিরের বক্তব্য, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এখন শুধুই উন্নয়নের কথা বলে এগোতে চাইছেন। সঙ্ঘের একাংশ যে ভাবে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছেন, সেটি পছন্দ করলেও নিজেকে এখনই উগ্র হিন্দুত্বের সঙ্গে জড়াতে নারাজ মোদী। |
|
|
|
|
|