|
|
|
|
বাড়তে পারে বিদ্যুৎ মাসুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রান্নার গ্যাস, ডিজেলের পর এ বার বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম। কারণ, কয়লার দাম নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি চালু হলে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলিকে বেশি দামে কয়লা কিনতে হবে। আর তার ধাক্কায় বাড়বে বিদ্যুৎ মাসুল। কয়লা মন্ত্রকেরই হিসেব বলছে, মাসুল বাড়বে ইউনিট-পিছু প্রায় ১৩ পয়সা। দেশে চাহিদার তুলনায় কয়লার জোগান কম। তাই বিদেশ থেকে কয়লা আনতে হচ্ছে। এখন ঠিক হয়েছে, সস্তার দেশি কয়লা ও আমদানি করা মহার্ঘ কয়লা এই দুই মিলিয়ে কয়লার গড় মূল্য নির্ধারণ করা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে। দেশের কয়লা ও আমদানি করা কয়লার মধ্যে সাধারণত টন প্রতি দেড় হাজার টাকার ফারাক থাকে। প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, নতুন পদ্ধতি চালু হলে প্রতি টন কয়লার দাম গড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকা বাড়বে। তাপবিদ্যুৎ তৈরির ক্ষেত্রে খরচের ৭০ শতাংশই যায় কয়লার পিছনে। তাই কয়লার দাম বাড়লে স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যুৎ তৈরির খরচ বাড়বে।
গত এক বছরে দেশেই সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলি বিদ্যুৎ মাসুল বাড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনমোহিনা রাজনীতি করলেও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে বার চারেক বিদ্যুতের দাম বাড়ানো অনুমতি দিয়েছেন। সিইএসসি দাম বাড়িয়েছে দু’বার। ফের কয়লার মূল্যবৃদ্ধি হলে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি নতুন করে মাসুল বাড়ানোর দাবি তুলবে। তা বুঝতে পেরেই রাজ্য সরকার আগেভাগেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানাচ্ছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত নিজে দিল্লিতে এ বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন। আপত্তি জানিয়েছে ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্যও।
কেন্দ্রের পাল্টা বক্তব্য, বর্তমান দামে কয়লার জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির যা ক্ষমতা, তার থেকে অনেক কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আমজনতা থেকে শিল্প সংস্থা, তার ফল ভুগছে সকলেই। দাম বাড়ানো হলে কয়লার জোগান সুনিশ্চিত হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়বে। লোডশেডিং কমবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির বক্তব্য, কয়লার দাম বাড়লে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই নইলে অস্তিত্বের সঙ্কট দেখা দেবে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলিকে গ্রাহকদের থেকে বাড়তি মাসুল আদায় করতে হবে। নইলে তাদের আর্থিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়বে। কিন্তু রাজ্যগুলিকে রাজি করানো যে কঠিন কাজ, তা-ও মানছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। |
|
|
|
|
|