মাঘ মেলায় ফিরে এল রণপা, ছৌ-নৃত্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
কাজে মগ্ন শিল্পী। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রতিষ্ঠাতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি শ্রীনিকেতনের মাঘ মেলার শ্রীবৃদ্ধি ঘটানোয় উদ্যোগী হয়েছেন মেলা কর্তৃপক্ষ। পৌষমেলার মতো ‘বাণিজ্যিককরণ’ নানা বিধ স্টলের ছোঁয়া থেকে দূরে রয়েছে মাঘমেলা। তাই মেলায় গ্রাম্য ছোঁয়া বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিশ্বভারতী কর্মী সঙ্ঘের সম্পাদক তথা শ্রীনিকেতন মাঘ মেলার অন্যতম আয়োজক অসিত গড়াই বলেন, “প্রতিষ্ঠাতার ভাবনা ও চিন্তাদর্শকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে উপাচার্য উদ্যোগী হয়েছেন। এ বার বাজেট আড়াই গুন গাড়িয়েছেন তিনি। এ বার মেলায় হস্ত, কুটির শিল্পের সঙ্গে স্থান পেয়েছে কৃষিজাত পণ্য। কৃষি-শিল্পের বিশেষ প্রদর্শনী রয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে, রয়েছে লোকসংস্কৃতি ও নৃত্যের আসর।” তবে বেশ কয়েক বছর ধরে রণপা, ছৌ নৃত্য বন্ধ ছিল মাঘমেলায়। এ বার সেগুলিও স্থান পেয়েছে। দেখা যায়, মূল মেলা প্রাঙ্গণ লাগোয়া ফুটবল মাঠে সেজে উঠেছে একটি হস্ত শিল্পের প্রদর্শনী। উদ্যোক্তা ভারত সরকার। ওই মাঠেই রয়েছে ৩০টি স্টল। এ ছাড়া মূল মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে আরও ১০০টি স্টল। আজ শুক্রবার মেলার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পল্লিসংগঠন, গ্রামাঞ্চলের অর্থ-সামাজিক অবস্থার বদলের ভাবনাকে সুদূর প্রসারী করতে কতটা সফল উদ্যোক্তারা, তা সময়ই বলবে।
|
ট্রেন থামানোর দাবি মল্লারপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
মল্লারপুর স্টেশন পরিদর্শনে আসা পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ দাবি জানালেন বাসিন্দারা। মা তারা এক্সপ্রেস, কবিগুরু এক্সপ্রেস, হাওড়া-গয়া এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির যাতায়াতের সময় মল্লারপুর স্টেশনে থামানোর আবেদন জানান তাঁরা। জেনারেল ম্যানেজার জি সি অগ্রবাল বলেন, “ওঁদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” নিত্যাযাত্রী, ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ যাত্রীরা ওই রেলকর্তার পরিদর্শনে আসার খবর পেয়ে স্টেশন এলাকায় জড়ো হন। তাঁদের মধ্যে মাণিক রায়, কাজল রায় বলেন, “রাতে কলকাতায় রওনা হতে গেলে আমাদের রামপুরহাট থেকে ট্রেন ধরতে হয়। বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারের পর আর কোনও ট্রেন রাতে মল্লারপুরে থামে না। তাই রেল কর্তার কাছে আরও কয়েকটি রাতের ট্রেন এই স্টেশনে থামানোর আর্জি জানানো হয়েছে।” একই সঙ্গে মল্লারপুর স্টেশনে প্লাটফর্ম বাড়ানো, টিকিট কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানোরও দাবি জানানো হয়। রামপুরহাট মহকুমা যাত্রী সঙ্ঘের সদস্যেরা ওই রেল কর্তার কাছে কিছু দাবি পেশ করেন।
|
কয়লা নিয়ে দুই গ্রামের বিবাদ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁকারতলা |
মালগাড়িতে বোঝাই করার সময় মাটিতে পড়ে যাওয়া কয়লার ভাগ নিয়ে দু’টি গ্রামের মধ্যে বিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কাঁকরতলায়। দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পুড়ল কয়লা বোঝাই গরুরগাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকরতলা থানা এলাকার রসাগ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের কৃষ্ণপুর-বড়জোড় খোলামুখ কয়লা খনি থেকে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের জন্য কয়লা মালগাড়িতে তোলা হয়। কাঁকরতলা থানা এলাকার হজরতপুর সাইডিং--এর কাছাকাছি থাকা সাহাপুর ও রসা এই দু’টি গ্রামের মানুষ পড়ে থাকা কয়লা কুড়োতে সেখানে নিয়মিত হাজির হন। গণ্ডগোল এড়াতে থাকে পুলিশি। তবে তার মধ্যেও মাঝেমধ্যে ওই দুই গ্রামের মধ্যে বিবাদ লাগে। এ দিনও তেমনটাই হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
|
প্রতারণার নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
একটি ভূঁইফোঁড় আর্থিক সংস্থা আমানতকারীদের টাকা না দিয়ে অফিস গুটিয়ে ফেলেছে। আমানতকারীদের টাকা ফেরত না দিতে পারায় সংস্থাটির এজেন্টরা ওই সংস্থার বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ করলেন বোলপুরের মহকুমাশাসকের কাছে। বৃহস্পতিবার এলাকার শতাধিক এজেন্ট মহকুমাশাসকের কাছে নিজেদের নিরাপত্তা দেওয়ারও দাবি জানান। মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
পাথর বোঝাই একটি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মোটরবাইক আরোহীর। মৃতের নাম অজিত ঘোষ (৪৫)। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা এলাকায়। বুধবার সকালে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কের উপর নলহাটি থানার গোপালপুর মোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। |