মোবাইল টাওয়ারে ব্যাটারি চুরি করতে এসে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে গেল এক দুষ্কৃতী। কালনা ১ ব্লকের হরিশঙ্করপুর মোড়ের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ধৃতের নাম কাদের আলি। বাড়ি হুগলির ব্যান্ডেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় দু’টি গাড়িতে করে এক দল দুষ্কৃতী সুলতানপুর পঞ্চায়েতের হরিশঙ্করপুর এলাকায় আসে। কাছাকাছি একটি মোবাইল টাওয়ারে ব্যবহৃত ২৪টি ব্যাটারির ২৩টি হাতিয়ে নেয় তারা। |
চুরি যাওয়া ব্যাটারি।—নিজস্ব চিত্র। |
চুরির খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ তাদের তাড়া করে। বেশির ভাগ সদস্য পালালেও কাদের ধরা পড়ে যায়। আটক হয়েছে ব্যবহৃত গাড়ি দু’টি, উদ্ধার হয়েছে ২৩টি চুরি যাওয়া ব্যাটারি, ১২টি তাজা বোমা ও গুলি ভর্তি পাইপগান-সহ বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ জানায়, ওই ব্যাটারিগুলির মূল্য লক্ষাধিক টাকা। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ। |
তুলোজাতীয় দ্রব্যসামগ্রীর গুদামে আগুন লাগল বৃহস্পতিবার,কাটোয়ার উত্তর ঠাকুরপুকুর এলাকায়। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, সকাল ৮টা নাগাদ স্থানীয়রা গুদাম থেকে আগুনের ফুলকি বেরোতে দেখেন। নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। |
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দমকল প্রথমে বড় ইঞ্জিন আনে। কিন্তু এলাকাটি জনবহুল হওয়ায় ঢুকতে না পেরে ফিরে গিয়ে অন্য ইঞ্জিন আনতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়। তবে দমকলের এক কর্তা বলেন, “আমাদের একজনই গাড়ি চালক। বড় গাড়ি না ঢোকায় চালক দফতরে গিয়ে ছোট গাড়ি নিয়ে আসেন।” কী কারণে আগুন লেগেছে তা দমকল বা পুলিশ কেউই বলতে পারেনি। গুদামের মালিক শেখ আখতার আলিও কিছু বলতে পারেনি। পুলিশ অবশ্য ওই জনবহুল এলাকায় গুদাম তৈরির জন্য পুরসভার অনুমতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে।
|
নির্যাতিতা শিশু রইল হোমেই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
ঝোপ থেকে উদ্ধার নির্যাতিতা শিশুকে আপাতত শিশুবিকাশ কেন্দ্রেই রাখার নির্দেশ দিল কাটোয়া আদালত। শিশুটিকে পাওয়ার জন্য তার মা ও বাবা আলাদা ভাবে আদালতে আবেদন করেছিলেন। সরকারি আইনজীবী কল্যাণ রায় বলেন, “শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, শিশুটি বাবা-মা কাউকেই চিনতে পারছে না। তা ছাড়া তার চিকিৎসারও প্রয়োজন রয়েছে। তাই আদালত এমন নির্দেশ দিয়েছে।” গত ২৪ ডিসেম্বর কাটোয়ার গোয়াই গ্রামে লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে ঝোপ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তিন বছরের এক শিশু। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। পরিচয় না মেলায় শিশুটিকে জেলা শিশুবিকাশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। পুলিশ সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেয়, প্রচারপত্রও ছড়ায়। তা দেখে শিশুটির বাবা পুলিশে যোগাযোগ করেন। সেই সূত্র ধরে খোঁজ মেলে শিশুটির মা ও সৎ বাবার। ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে সৎ বাবাকে মঙ্গলবার কালনার বুলবুলিতলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিশুটিকে হেফাজতে চেয়ে তার বাবা আগেই আদালতে আবেদন করেছিলেন। বুধবার তার মা-ও আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার শুনানির পরে কাটোয়া আদালতের এসিজেএম অঞ্জনকুমার সরকার আপাতত সরকারি হোমেই শিশুটিকে রাখার নির্দেশ দেন। |