বেশি বিল পাঠানোর অভিযোগ উঠল বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির বিরুদ্ধে। কালনা ১ ব্লকের ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের বেলকুড়ি বাবলাপাড়ার বাসিন্দারা এই অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই অনেক গুণ বেশি বিল এসেছে। এর জেরে বুধবার এলাকার এক দল বাসিন্দা বিষয়টি নিয়ে ওই কেন্দ্রের স্টেশন ম্যানেজারের দফতর ঘেরাও করে। তাঁদের দাবি, এই অস্বাভাবিক বিল প্রত্যাহার করতে হবে। এ ব্যাপারে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে একটি লিখিত স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন তাঁরা। |
ধাত্রীগ্রামে বিল হাতে বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র। |
বাবলাপাড়া এলাকায় প্রায় ৭৫টি আদিবাসী পরিবারের বাস। বেশিরভাগেরই জীবিকা খেতমজুরি। বাসিন্দারা জানান, বছর খানেক আগে রাজীব গান্ধি বিদ্যুৎ যোজনা প্রকল্পে তাদের পাড়ায় বিদ্যুৎ পৌঁছয়। তারা জানান, কোনও বাড়িতে দু’টি বা কোনও বাড়িতে তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি লাগানো রয়েছে। সারা দিনে বিদ্যুতের ব্যবহার কমই হয়। অন্য দিকে, সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা বাজতে না বাজতেই আলো নিভে যায়। গত তিন মাসেও ঠান্ডায় তেমন ব্যবহারও করা হয়নি বিদ্যুৎ। এলাকার বাসিন্দা চান্দ্রী হাঁসদা বলেন, “আগের তিন মাসে বিল এসেছিল ১৩০টাকা। এ মাসে বিল এসেছে ছ’হাজার টাকারও বেশি। বেশি বিদ্যুৎ খরচ না করেই কী করে এত টাকা বিল এল তা বুঝতে পারছি না।” আর এক বাসিন্দা বিনোদ মুর্মুর কথায়, “আগের তিন মাসে দেড়শো টাকারও কম বিদ্যুৎ এসেছিল। এ বারে এসেছে সাত হাজার টাকারও বেশি। এত টাকা কীভাবে জোগাড় করব?”
ধাত্রীগ্রামের স্টেশন ম্যানেজার জ্যোতি চক্রবর্তীর বক্তব্য, “ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওখানকার মিটার বক্সগুলি ফের পরীক্ষা করা হবে।” |