টুকরো খবর |
ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করেননি বুদ্ধদেব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিধানসভায় বিপর্যয়ের পরে আর ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছিলেন বলেই দলীয় সূত্রের খবর। মঙ্গলবার কিন্তু এবিপি-আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফের ভোটে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা খারিজ করলেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। উড়িয়ে দিলেন না মুখ্যমন্ত্রিত্বে ফেরার সম্ভাবনাও। রাজ্যে পরিবর্তনের পরে দীর্ঘদিন নিজেকে বাড়ি আর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মধ্যেই কার্যত বন্দি করে রেখেছিলেন বুদ্ধবাবু। যাননি পলিটব্যুরো বৈঠকেও। কিন্তু আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেই দলের প্রধান মুখ হিসেবে ফের উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে। নিয়মিত সভা-সমাবেশ করছেন। সেই নিরিখে তাঁর ভোটে লড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে না দেওয়াকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বুদ্ধবাবু এ দিন বলেন, প্রকাশ্যে মানুষের সামনে বক্তব্য রাখার জন্য কিছুটা সময় অতিক্রম করা দরকার ছিল। তিনি সেটাই করেছেন। “এখন আবার সভা-সমাবেশ করছি। ধীরে ধীরে সংখ্যাটা বাড়াচ্ছি।” বুদ্ধবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন কি না। উত্তরে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের এজেন্ডা মানুষের কাছে ফিরে যাওয়া। ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি।”
|
ক্ষতিপূরণের আশ্বাস মমতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
২০-২১ ফেব্রুয়ারির ধর্মঘটে দোকান খোলা রাখা এবং গাড়ি চালানোর জন্য কোনও ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। ওই দু’দিন দোকান, বাজার, ব্যবসা চালু রাখার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মহাকরণে সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই আর্জি জানান। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, ধর্মঘটে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দিতে সব বাজারে পুলিশ মোতায়েনের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দোকান-বাজার খুলতে বা গাড়ি চালাতে বাধা দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। ফেডারেশন অফ ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকেও ধর্মঘটে দোকান-বাজার খোলা রাখার আহ্বান জানানো হয়। ওই দু’দিন সরকারি অফিস খোলা রাখার জন্য ব্যবস্থা নিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন। দূরের কর্মীদের আগের রাতে অফিসে থাকার বন্দোবস্ত করার আর্জিও জানানো হয়েছে।
|
ট্রেনভাড়া বৃদ্ধির ইঙ্গিত অধীরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
|
কাজে ডুবে: মেট্রোর নামের তালিকা
দেখছেন অধীর চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র |
সবুজ সঙ্কেত: নতুন ট্রেনের উদ্বোধন
করছেন অধীর চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র |
|
কোনও ভাবেই আর ভর্তুকি নয়। তেলের দাম বাড়লে ট্রেনভাড়াও বাড়বে বলে মঙ্গলবার ইঙ্গিত দিয়েছেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। শিয়ালদহে রেলের একটি অনুষ্ঠানের পরে তিনি বলেন, “রেল আগে জনস্বার্থ দেখবে, ঠিক কথা। কিন্তু তেলের দাম বাড়লে কী করা যাবে! ভাড়াও বাড়াতে হবে।” প্রস্তাবিত শিল্প বনধে ট্রেন চলবে বলেও জানান অধীরবাবু। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলির বনধ করার স্বাধীনতা আছে। তবে যে-দল সরকারে থাকে, তারা বনধের বিরোধিতা করে।” শিয়ালদহে এ দিন নতুন আট জোড়া লোকাল ট্রেনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। চালু করেন ব্যারাকপুর-আজমগড় পর্যন্ত একটি এক্সপ্রেস ট্রেনও। মন্ত্রীর মন্তব্য, রেলের আর্থিক দুরবস্থা সত্ত্বেও যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই নতুন ট্রেনগুলি চালু করা হল। একটি ছাড়া সব ক’টি নতুন লোকাল ট্রেনই নৈহাটি-রানাঘাট, বারাসত-হাসনাবাদ ইত্যাদির মতো কম দূরত্বে চালবে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, “শিয়ালদহে অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। তাই বিকল্প পদক্ষেপ হিসেবে নতুন ট্রেনগুলিকে এ ভাবে চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
|
কয়লা-মূল্যে নিয়ন্ত্রক চেয়ে সরব রাজ্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিদ্যুতের মতো কয়লার দাম নিয়ন্ত্রণেও আলাদা একটি নিয়ন্ত্রক পর্ষদ গঠনের দাবি দীর্ঘ দিন ধরে উঠছে। আজ দিল্লিতে বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীদের সঙ্গে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের বার্ষিক বৈঠকেও একই দাবিতে সরব হল পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য। পাশাপাশি সস্তার দেশি কয়লার সঙ্গে মহার্ঘ বিদেশি কয়লা মিশিয়ে গড় মূল্য হিসেবে (পুলিং প্রাইস) বিদ্যুৎ সংস্থাকে বিক্রির যে সিদ্ধান্ত কোল ইন্ডিয়া নিতে চলেছে, তাতেও আপত্তি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, অন্ধ্রের মতো রাজ্য। তাদের যুক্তি, এতে কয়লার দাম আরও বাড়বে, যার জেরে বিদ্যুৎ-মাসুল বাড়ানো ছাড়া উপায় থাকবে না। কেন্দ্র শীঘ্রই কয়লা নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও তা নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলছে কয়লা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রকে। আজকের বৈঠক শেষে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত বলেন, নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আদৌ গড়তে না পারলে বিদ্যুৎশিল্পের জন্য যে ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটরি কমিশন (ইআরসি) রয়েছে, তাদের সেই দায়িত্ব দেওয়া হোক। একই ভাবে ‘পুলিং প্রাইস’ পদ্ধতি নিয়েও কয়লা মন্ত্রকের সঙ্গে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের বিরোধ চলছে। তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থ বিষয়ক কমিটি ‘পুলিং প্রাইস’-এ সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কমিটি ফের কয়লা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রককে আলোচনা চালিয়ে যেতে বলেছে।
|
মাওবাদী এলাকায় রাস্তা গড়তে টাকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মাওবাদী এলাকার কোনও গ্রামে একশো মানুষের বসতি থাকলেই সেখানে বিটুমিনের সড়ক তৈরির টাকা দেবে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়া। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক আজ সিদ্ধান্ত নেয়, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার কোনও গ্রামে আড়াইশো জনের বসতি থাকলেই সেখানে একাধিক সড়ক (একটি বিটুমিনের, অন্যগুলি মোরামের) তৈরির টাকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ জানান, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার অনুন্নয়নের নেপথ্যে মূল বাধা হল যোগাযোগের অভাব। মাওবাদী দমনের ক্ষেত্রেও সেই রাস্তার অভাবই ভোগাচ্ছে। মাওবাদীরা কোনও গ্রামে পৌঁছনোর একমাত্র রাস্তাটি কেটে দিয়ে সেই গ্রামে লুকিয়ে থাকছে। তারা এমন সব প্রত্যন্ত গ্রামে আশ্রয় নেয় যেখানে জনবসতি কম। তাই একশো জনের বসতি রয়েছে, এমন গ্রামেও সড়ক নির্মাণের টাকা দেওয়ার মূল প্রস্তাব দেয় কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক তাতে সায় দেয়।
|
সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিমানের |
সরকারের বিরুদ্ধে ‘সফ্ট কমিউনালিজম’ (নরম সাম্প্রদায়িকতা) ছড়ানোর অভিযোগ তুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে সিপিএমের দলীয় মুখপত্রের ৪৭তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন। তাঁর কথায়, “এই সরকার ইমাম, মোয়াজ্জেমদের ভাতা দিচ্ছে। যদিও সব ইমামরা ভাতা পাননি। ইমামদের ভাতা দেওয়ার জন্য পুরোহিতরাও ভাতার জন্য সংগঠিত হচ্ছেন।” ব্যক্তিগত ধর্মাচরণে সরকারি সাহায্য দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
|
চাষিদের পাশে |
কোদাল, স্প্রে মেশিন, পাইপ, ধানঝাড়া যন্ত্রের মতো চাষের সরঞ্জাম কিনতে ৩০ হাজার গরিব কৃষককে পাঁচ হাজার টাকা করে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। অর্থ দফতরের মঞ্জুরি মিলেছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হবে। গরিব চাষির তালিকা তৈরি করবেন বিডিও-রা। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কৃষকদের সন্তুষ্ট করতেই এই খয়রাতি বলে মনে করছেন সরকারি মহলের একাংশ। |
|