অ্যাশলে কোলের ‘সেঞ্চুরি’ ম্যাচ।
রোনাল্ডিনহোর প্রত্যাবর্তন।
তিন ব্রিটিশের সিংহ-গর্জন।
‘বিগ ফিল’-এর মর্যাদার লড়াই। সম্মান ফিরে পাওয়ার ম্যাচ।
নেইমারের জন্মদিনের উপহারের খোঁজ।
যুদ্ধ নামেই এক। কিন্তু ওরই মাঝে যে লুকিয়ে কত ছোট ছোট ‘ম্যাচ’, চাওয়া-পাওয়ার গল্প!
ব্রাজিল বনাম ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ ম্যাচ না হলে কী হবে, যুদ্ধের মেজাজ এমনই যে এক ঝটকায় সঞ্জীবনী মন্ত্র পেয়ে যাচ্ছে গড়াপেটায় আক্রান্ত ফুটবিশ্ব।
যেখানে এক বছর পর ফের ব্রাজিল টিমের জার্সিতে থাকছেন রোনাল্ডিনহো। সঙ্গে মেসি-রোনাল্ডোর প্রতিভার সঙ্গে যঁর তুলনা চলে, সেই নেইমার। শুধু তাই নয়, ফাবিয়ানো-রামিরেজ-অস্কার সমেত পুরো শক্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ‘সাম্বা-ম্যাজিক’। কনফেডারেশন কাপের ঠিক আগে আগে। যেখানে বোঝা যাবে, ২০১৪ বিশ্বকাপের আগে ঠিক কতটা তৈরি লুই ফিলিপ স্কোলারির ব্রাজিল। |
মানো মেনেজেসের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হওয়ার পর স্কোলারির এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ২০০২ বিশ্বকাপ ব্রাজিলকে দিয়েছিলেন যিনি। স্কোলারি আবার দায়িত্ব পেয়েই ফিরিয়েছেন ফাবিয়ানোকে। রোনাল্ডিনহোকে। স্কোলারির নিজেরও একটা হিসেব মেটানোর আছে ব্রিটিশ ফুটবলের সঙ্গে। চেলসি থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ব্যর্থ বলে। বিগ ফিল পারবেন শোধ নিতে?
নেইমার কিন্তু শুনিয়ে রাখছেন। বলে দিচ্ছেন, “ইংল্যান্ডে ভাল ফুটবলার আছে ঠিকই, কিন্তু ওরা স্পেন বা আর্জেন্তিনা নাকি? একেবারেই না। অতিরিক্ত রুনি-নির্ভর।” মঙ্গলবার একুশে পা দিলেন নেইমার। জন্মদিনের উপহার কী চাইতে পারেন, এর পর আর সন্দেহ থাকে?
অন্তত রোনাল্ডিনহোর নেই। এক সময় ব্রাজিল ফুটবলের অলঙ্কার ছিলেন, এখন তিনি অনেকটাই ‘অতীত’। ভাবতেও পারেননি টিমে ফের ডাক আসতে পারে। “ফুটবলে গতি এখন বিরাট ফ্যাক্টর। আর সেই কারণেই নেইমার খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বসেরা ফুটবলার হয়ে যাবে আমার বিশ্বাস,” বলেছেন রোনাল্ডিনহো। জানেন, নিজে টিমের সবচেয়ে অভিজ্ঞ প্লেয়ার। “ভাবতেই পারিনি যে ফের ডাক পাব। আমাকেই সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই কাজ শুরু করতে চাই।”
রেকর্ডও ব্রাজিলের দিকে। ববি রবসনের আমলে শেষ বার ব্রাজিলের বিরুদ্ধে জিতেছিল ইংল্যান্ড। তেইশ বছর আগে। ২০০৯-এ শেষ সাক্ষাৎ, এবং ব্রাজিল জেতে ১-০। তার ওপর পুরো টিম পাচ্ছেন না ইংল্যান্ড কোচ রয় হজসন। অ্যাশলে কোলকে খেলালে তাঁর আন্তর্জাতিক ফুটবলের সেঞ্চুরি ম্যাচ হবে। কিন্তু তিনি নন, ব্রিটিশ ফুটবলের ‘এমব্লেম’-র সঙ্গে সঙ্গতি রেখে হজসনের ভরসা হাতে গোনা তিন। ওয়েন রুনি। উইলশিয়ার। ওয়ালকট। হজসনের হাতে এই ‘থ্রি লায়ন্স’ ছাড়া আছেটা কে? |