|
|
|
|
|
বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা,
ধৃত কেবল অপারেটর
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
|
দু’মাসও হয়নি দিল্লির বাসে গণধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশ। দিল্লিরই লাজপত নগর এলাকায় ফের এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং তার পর তাঁর গলায় লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
পুলিশ জানিয়েছে, গত কাল সন্ধ্যায় বাড়িতে একা ছিলেন ওই তরুণী। সেই সময় টিভির কেবল সংযোগের কাজ করার জন্য বাড়িতে আসে তাঁর পরিচিত এবং পড়শি যুবক অনিল কুমার। প্রথমে তাকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন ওই তরুণী, কিন্তু সে জোর করে ঢুকে পড়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তরুণী চিৎকার করতে শুরু করেন। একটি লোহার রড দিয়ে মারার চেষ্টা করেন অনিলকে। এর পর ওই রড দিয়েই মেয়েটির মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করে এবং গলার ভিতর রড ঢুকিয়ে দিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যায় অনিল। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করেন তরুণীটিকে। দিল্লির এইমস হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
দিল্লির এই ঘটনা মনে পড়িয়ে দিয়েছে মুম্বইয়ে পল্লবী পুরকায়স্থ বা কলকাতায় হেতাল পারেখের হত্যাকাণ্ড। গত বছরের অগস্ট মাসে মুম্বইয়ের অভিজাত ওডালা এলাকার আবাসনে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল ২৫ বছরের তরুণী, পেশায় আইনজীবী পল্লবী পুরকায়স্থের মৃতদেহ। অভিযোগ ছিল, তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তারক্ষী সাজ্জাদ আহমদ মোগল ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে পল্লবীকে ধর্ষণ করে খুন করেছে। ধৃত সাজ্জাদ আহমদ মোগলের বিরুদ্ধে এ দিন অবশ্য ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করেছে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। ১৯৯০ সালে দক্ষিণ কলকাতার আবাসনে লিফটম্যান তথা নিরাপত্তারক্ষী ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ধর্ষণ করে খুন করেছিল ১৪ বছরের হেতাল পারেখকে।
এ দিন লাজপতনগরে অভিযুক্ত অনিল কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|