|
|
|
|
বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রে নালন্দার অন্তর্ভুক্তি, উদ্যোগী অমর্ত্য |
স্বপন সরকার • পটনা |
নালন্দার ধ্বংসাবশেষ বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রে-এর অন্তভূর্ক্ত নয়, এই তথ্য জেনে বিস্মিত অমর্ত্য সেন। এই ঐতিহাসিক স্থানটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্তির জন্য উদ্যোগী হবে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি। পরিচালন সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইউনেসকোর কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অর্মত্য সেন বলেন, “আমরা যখন জানতে পারি যে নালন্দা এই তালিকায় নেই, তখন আমরা অবাক হয়ে যাই। এর স্থাপত্য, নকশা ইত্যাদি অনেক আগেই বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের তালিকায় আসা উচিত ছিল। আমরা ঠিক করেছি এর স্বীকৃতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে ইউনেসকোর কাছে আবেদন জানানো হবে।” এরপরেই ঠিক হয় বিহার সরকার এই ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য তৈরি করবে। তারপর সেই তথ্য নিয়ে দিল্লিতে সরকারের কাছে তদ্বির করা হবে। বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত হলে রক্ষনাবেক্ষণের জন্য ইউনেসকোর তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে। তা ছাড়া দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নজর টানতেও অই অন্তর্ভুক্তি সাহায্য করবে।
এরই পাশাপাশি, পরিচালন সমিতির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী মে মাসের মধ্যে নতুন নালন্দা গড়ে তোলার জন্য এক জন স্থপতিকে বেছে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে যে আট স্থপতিকে বাছাই করা হয়েছে, তাদের সবিস্তার নকশা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তার মধ্যে থেকে এক জনকে বাছাই করা হবে। প্রাচীন নালন্দার ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে মনে রেখে যাতে নকশা তৈরি করা হয়, তার জন্য স্থপতি সংস্থাগুলির হাতে নালন্দার ইতিহাসের যাবতীয় তথ্যও তুলে দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২০১৪ সালের পুজোর আগে এখানে দু’টি বিষয়ে পঠন-পাঠনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। এর জন্য ২৬ জন শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালন সমিতি। ইতিহাস এবং ইকোলজি-এনভারমেন্ট বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মডেল’ অনুসরণের কথাই ভাবা হয়েছে। সার্চ কমিটিতে তিন জন করে বিশেষজ্ঞকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অর্মত্য সেন বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে একটু দেরি হলেও তেমন কোনও অসুবিধা হবে না।” এর জন্য যে পঠন-পাঠনে সমস্যা হবে না তাও জানিয়ে দিয়েছেন আচার্য।
এই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন অর্থ সাহায্যকারীদের আয়কর ছাড় দেওয়া হয়, তেমনই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও যাতে তা করা যায় তার জন্য অর্থমন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হবে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেখভালের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে মনিটরিং কমিটি তৈরি করেছেন, সেই কমিটির সঙ্গে পরিচালন সমিতির বৈঠক হওয়ার কথা। এই কমিটির চেয়ারম্যান তথা যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। রাজগীরের বৈঠকের আগে পটনায় মন্টেক বলেন, “নালন্দার জন্য বিদেশের সাহায্যের উপর আমরা নির্ভর করছি না। তবে বিদেশি সহায়তা এলে তাকে আমরা স্বাগত জানাব।” |
|
|
|
|
|