প্রেসিডেন্সিতে প্রফেসর-পদে আরও বেশি মহিলা নিয়োগ করতে হবে বলে মনে করছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গঠিত মেন্টর গ্রুপ। এই মর্মেই সুপারিশ করা হয়েছে মেন্টর গ্রুপের চতুর্থ রিপোর্টে। রাজ্য সরকারের কাছে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্টটি সম্প্রতি মেন্টর গ্রুপের ওয়েবসাইট www.pmg.org.in-এও দেওয়া হয়েছে। মেন্টর গ্রুপের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে: এ-পর্যন্ত ১৬টি প্রফেসর-পদের মধ্যে মাত্র দু’জন মহিলা নিযুক্ত হয়েছেন। এই ধরনের উচ্চ পদে আরও বেশি মহিলাকে নিয়োগ করা দরকার। যদিও প্রফেসরের নীচে যে-সব অ্যাসোসিয়েট এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পদ আছে, সেখানে শিক্ষকদের পাশাপাশি যথেষ্ট সংখ্যক শিক্ষিকাও নিযুক্ত হয়েছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্সির উপাচার্য মালবিকা সরকার বলেন, “এত দিন প্রফেসর-পদের জন্য মহিলাদের খুবই কম আবেদন জমা পড়েছে। তবে ইতিহাস, ইংরেজির মতো বিভাগে প্রফেসর-পদের জন্য অনেক মহিলাই আবেদন জানাচ্ছেন। তাই ওই পদেও আর লিঙ্গবৈষম্য থাকবে না বলে আশা করছি।” ২০১৭ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সাহায্যও দরকার বলে ওই রিপোর্টে জানিয়েছেন মেন্টররা।
|
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সই ও স্ট্যাম্প জাল করে পুরসভা চত্বরেই বার্থ সার্টিফিকেট পাইয়ে দেওয়ার ব্যবসা ফাঁদে সে। মঙ্গলবার মহম্মদ আব্দুল রশিদ নামের ওই ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ। বেশ কিছু নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প মিলেছে। সম্প্রতি দফতরের নজরে আসে, একই ম্যাজিস্ট্রেটের সই ও স্ট্যাম্প দেওয়া বহু হলফনামা জমা পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। জানা যায়, পুরসভা লাগোয়া চ্যাপলিন হলের কাছে ওই কাজ চালাচ্ছেন মহম্মদ রশিদ। মঙ্গলবার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, “সোমবারই রশিদকে ধরার ছক কষা হয়। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের ম্যানেজার দেবাশিস সেন দু’জন কর্মীকে খদ্দের সাজিয়ে তার কাছে পাঠান। ছিল সাদা পোশাকের পুলিশও। ৫০০ টাকার একটি নোটে চিহ্ন করে রাখা হয়। রশিদ জানান, সার্টিফিকেটের জন্য হাজার টাকা দিতে হবে। দুই খদ্দেরের দেওয়া ৫০০ টাকার নোটটি নিতেই পুলিশ রশিদকে ধরে।” পুলিশ জানায়, ধৃতের কাছে বেশ কিছু বার্থ সার্টিফিকেট মিলেছে। পুলিশের অনুমান, সেগুলির খদ্দের আগেই টাকা দিয়েছেন। হয়তো নথি নেওয়া হয়নি। পুরসভার কেউ এতে জড়িত।
|
মিল্লি আল আমিন কলেজের তিন শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়েও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের ডিজি-কে দু’সপ্তাহে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কলেজে তাঁদের কী ভাবে হেনস্থা হতে হয়, তা জানাতে মঙ্গলবার কমিশনের চেয়ারম্যান, বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিন শিক্ষিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, জারিনা খাতুন ও প্রবীণ কৌর। ছিলেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা-র প্রতিনিধিরাও। চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগে শিক্ষিকারা জানান, এক বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা সাবিনা নিশাত ওমর এবং কয়েক জন শিক্ষিকা তাঁদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করছেন। পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। কলেজ পরিচালন সমিতির সচিব মহম্মদ জাহাঙ্গির জানান, কমিশনে ওই শিক্ষিকারা কী বলেছেন, সেই ব্যাপারে তাঁরা কোনও মন্তব্য করবেন না। তবে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রসঙ্গে জাহাঙ্গির বলেন, “ওঁরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। পুলিশ তো ওঁদের অভিযোগ নিয়েছে।” ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষার পাল্টা অভিযোগ, “ওই শিক্ষিকারাই আংশিক সময়ের শিক্ষিকাদের উপরে অত্যাচার করেন। সকলের নামে বদনাম রটান।”
|
কলকাতা বিমানবন্দরের সামনে থেকে মঙ্গলবার ধরা পড়ল এক গাড়িচোর। ধৃত সমীর সরকার বারুইপুরের বাসিন্দা। পুলিশের অনুমান, গাড়ি চুরি চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে সমীরের। যে কোনও গাড়ি খোলা যায়, এমন তিনটি ‘মাস্টার কি’ মিলেছে তার কাছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, একটি বড় গাড়ি নিয়ে সমীর আন্তর্জাতিক টার্মিনালের সামনে দাঁড়ায়। তা থেকে নেমে সামনের ছোট গাড়িটি খুলে স্টার্ট করতে গেলে সিআইএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ে সে।
|
কলকাতাকে জঞ্জালমুক্ত করতে শহরের উত্তর ও দক্ষিণের দু’জায়গায় স্বয়ংক্রিয় কম্প্যাক্টর বসাল পুরসভা। মঙ্গলবার টালা পার্ক সংলগ্ন ভ্যাটে পোর্টেবল কম্প্যাক্টর-এর উদ্বোধন করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিকেলে লেক কালী বাড়ির সামনে কম্প্যাক্টর বসে। জঞ্জাল অপসারণ দফতরের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার জানান, শহর জুড়ে জঞ্জালের স্তূপ জমে থাকা নিয়ে নানা অভিযোগ আসে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ শহর সবসময় পরিষ্কার রাখা হোক। সেই লক্ষ্যেই পুরসভা শহর জুড়ে কম্প্যাক্টর এর ব্যবস্থা করবে।
|
পুড়ে গেল একটি প্লাস্টিক কারখানা। মঙ্গলবার, বড়বাজারের রূপচাঁদ রায় স্ট্রিটে। পুলিশ জানায়, পাঁচতলা বাড়ির একতলায় ছিল কারখানাটি। অন্য দোকানগুলির বেশির ভাগই হোসিয়ারির গুদাম। ঘিঞ্জি এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যাওয়ায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন। দমকলের চারটি ইঞ্জিন প্রায় দু’ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ, কারখানাটি থাকায় ওখানে বিপজ্জনক ভাবে বিদ্যুতের লাইন গিয়েছে। এর আগেও বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুন লাগে। অভিযোগ করেও ফল হয়নি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।
|
ট্রাফিক সিগন্যাল লঙ্ঘনের গোলমালে জড়ালেন অভিনেত্রী অরুণিমা ঘোষ। মঙ্গলবার টালিগঞ্জ থানার কাছে কর্তব্যরত এক গ্রিন পুলিশের সঙ্গে ‘খারাপ ব্যবহার’ করে তিনি ঝামেলায় জড়ান। যদিও পরে থানায় বসে দু’পক্ষ চিঠি দিয়ে পারস্পরিক ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মিটিয়ে নেন বলে থানা সূত্রের খবর। সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ মাকে নিয়ে থানা থেকে বেরোনোর সময় অরুণিমা বলেন, “গাড়ি ঘোরাতে একটু সমস্যা হয়, সেটা মিটমাট করতেই থানায় যাই।” ডিসি (ট্রাফিক) দিলীপ আদক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |