অভিযুক্ত দুই তৃণমূল কর্মী
ফের অস্ত্র মিলল রায়নায়
য়েক দিন আগেই অস্ত্র মিলেছিল সিপিএম নেতার বাড়িতে। এ বার দুই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হল রায়নায়। পুলিশ বাঁধগাছায় দু’টি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সে সব উদ্ধার করে। যাঁদের বাড়ি থেকে অস্ত্র মিলেছে তাঁরা এলাকায় রায়নার তৃণমূল নেতা বামদেব মণ্ডলের অনুগামী হিসেবে পরিচিত।
রায়নার পলেমপুরে বাড়ি থেকে স্টেনগানের মতো আধুনিক অস্ত্র মেলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সিপিএমের জোনাল সদস্য কৌসর আলিকে। তার কিছু দিন আগেই রায়নার তৃণমূল নেতা নিয়ামুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের খবর, নিয়ামুল ও বামদেবের অনুগামীদের মধ্যে এলাকায় মাঝে-মধ্যেই গোলমাল বাধছিল। পুলিশ দাবি করে, নিয়ামুলকে জেরা করে জানা যায়, তাঁকে অস্ত্র সরবরাহ করতেন কৌসর। এ দিন আবার তাঁর অনুগামীদের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগ ওঠার পরে বামদেববাবুর অভিযোগ, “নিয়ামুলের লোকেরাই ওদের বাড়িতে মাস্কেট, বোমা রেখে পুলিশে খবর দিয়েছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদারের আবার দাবি, “পুলিশের এই অভিযান লোক দেখানো। আমাদের লোকেদের বিরুদ্ধে ফের কোনও ষড়যন্ত্র হতে চলেছে। তার আগে এ সব করে মহড়া সারা হল।”
উদ্ধারের পরে। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
বাঁধগাছা ছাড়াও জেলার আরও তিনটি থানা এলাকায় বেশ কিছু বোমা উদ্ধার হয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। বাঁধগাছায় দু’টি মাস্কেট, একটি রামদা, এয়ারগান ও ৫০টি বোমা মেলে। এ ছাড়া মঙ্গলকোটে ২৩টি, কেতুগ্রামে ন’টি ও কাটোয়ায় ছ’টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা দখলের উদ্দেশেই নানা জায়গায় বোমা মজুত করা হচ্ছে বলে দাবি নানা মহলের। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “যাদের হেফাজত থেকে বোমা মিলেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেন এই সব বোমা মজুত রাখা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।”
পুলিশ সুপার জানান, এলাকা সূত্রে খবর পেয়ে বাঁধগাছায় হাফিজুদ্দিন মণ্ডল ও শেখ বাপি নামে দু’জনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। হাফিজুদ্দিনের বাড়ি থেকে দু’টি মাস্কেট ও বাপির বাড়ি থেকে এয়ারগান ও বোমা মেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই দু’জনই বামদেব মণ্ডলের অনুগামী। গ্রামবাসীরা পুলিশের কাছে জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই নিয়ামুল ও বামদেবের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে রয়েছে। সেই সূত্রেই গ্রামে অস্ত্র মজুত হয়েছে দাবি করে বাসিন্দারা বড় হানাহানির আশঙ্কার কথা জানান। পুলিশ জানায়, অস্ত্র উদ্ধারের পরে দু’জ বাসিন্দাই রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত হাফিজুদ্দিন ও বাপি অবশ্য পলাতক। পুলিশ সুপার অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “আমাদের কাছে অস্ত্র মজুতকারীদের আলাদা কোনও পরিচয় নেই।”
যদিও জেলা পুলিশেরই এক আধিকারিক বলেন, “বাঁদগাছার ওই দু’জন দীর্ঘদিন ধরেই বামদেব মণ্ডলের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। গত ১ জানুয়ারি গ্রামে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে যে বোমাবাজি হয়, ওই দু’জন তাদের মধ্যে একটি গোষ্ঠীতে ছিলেন। তাঁদের নামে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। তাঁদের খোঁজ চলছে।”
তৃণমূল নেতা বামদেব মণ্ডলের পাল্টা দাবি, “ওই গ্রামে আমার অনেক অনুগামী রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল সমর্থক। যাঁদের বাড়ি থেকে মাস্কেট ও বোমা উদ্ধার হয়েছে, দলের অন্য গোষ্ঠীর ভয়ে তাঁরা দীর্ঘদিন গ্রামছাড়া। নিয়ামুল গ্রেফতার হওয়ার দিন তাঁর অনুগামীরা ওই দু’জনের বাড়ি ভাঙচুর করে। নিয়ামুলের লোকেরাই তাঁদের বাড়িতে মাস্কেট, বোমা রেখে পুলিশে খবর দিয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.