প্রাথমিকের মতো মাধ্যমিকে নিয়োগ নিয়েও আইনি জট |
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আইনি জটিলতা বাড়ল। ইতিমধ্যেই টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। কৃতকার্যদের তালিকাও প্রকাশ করেছে। সমস্যা দেখা দেয় তার পরে। টেট উত্তীর্ণ এবং বিএড ডিগ্রি রয়েছে, এমন কিছু প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বলেন, তাঁদের এবং প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের সমগোত্রে ফেলা চলে না। যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচার্স এডুকেশন (এনসিটিই) আইন অনুযায়ী মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষক হিসেবে তাঁদের নিয়োগ করা যায় না।
সোমবার এই মামলার শুনানির সময় সরকার পক্ষের আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই টেট এবং বিষয়-ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। তাই এই মামলা বিচারের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত জানিয়ে দেন, মামলা চলবে। কারণ, এই মামলার বিচারের ক্ষেত্রে কোনও আইনি প্রতিবন্ধকতা নেই। আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৪ সাল পর্যন্ত কিছু ছাড় দিয়েছিল। তাই ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে শিক্ষক-পদে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেয়। কিন্তু সে-ক্ষেত্রে আলাদা ভাবে প্রশিক্ষিতদের তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই তালিকার সকলে নিযুক্ত হওয়ার পরেই প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের নিয়োগ করা যাবে। কিন্তু মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ক্ষেত্রে এ ধরনের ছাড় নেই। এনসিটিই-র আইনজীবী আশা গুটগুটিয়ার কাছে আইনি ব্যাখ্যা জানতে চান বিচারপতি। ওই আইনজীবী বলেন, এনসিটিই-র আইন অনুযায়ী, প্রশিক্ষণহীন এক জনকেও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা যায় না।
|
সমবায়ে কোপ অর্ডিন্যান্সের |
অর্ডিন্যান্স জারি করে রাজ্যের সব সমবায়ের পরিচালন সমিতি ভেঙে দিল রাজ্য সরকার। সোমবার মহাকরণ থেকে প্রথম দফার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য স্তরের ১৪টি সমবায়ে বিশেষ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আজ, মঙ্গলবার থেকে বাকি সমবায় সমিতিগুলিতেও একই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। সমবায় ভেঙে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভেঙে দেওয়া সমবায়গুলিতে ছ’মাসের মধ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত পরিচালন সমিতি গড়াই হবে মূল কাজ। ওই প্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত সরকার নিযুক্ত বিশেষ অফিসারের হাতেই সমবায়ের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। অর্ডিন্যান্স জারি নিয়ে এ দিন বেশি রাত পর্যন্ত সরকারের কোনও বক্তব্য জানা যায়নি। সন্ধ্যার পর থেকে সমবায়মন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি, দফতরের সচিব আরিজ আফতাব ও রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটিজ অশ্বিনী যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।
|
বিদ্যুতের দাম বাড়ায় ক্ষোভ |
বিদ্যুতের দাম বাড়ার প্রতিবাদে সোমবার সিইএসসি-র সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবেকা)। তাদের অভিযোগ, কয়লার মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ঘনঘন মাসুল বাড়াচ্ছে বিদ্যুতের। গত এক বছরের মধ্যে দু’টি সংস্থাই ৫-৬ বার মাসুল বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যোত চৌধুরী। বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্দেশমতো বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলি এখন জ্বালানি খরচ বাড়লে নিজেদের মতো করে মাসুল বাড়িয়ে নিতে পারে। সম্প্রতি ডিজেল ও কয়লার দাম বাড়ায় সিইএসসি এলাকায় প্রতি ইউনিটে গড়ে আট পয়সা এবং বণ্টন সংস্থায় ১১ পয়সা করে বিদ্যুতের মাসুল বেড়েছে। তার প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালাচ্ছে অ্যাবেকা।
|
মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড |
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ১২ ফেব্রয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড দেবে। পর্ষদের অধীন সব স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা তাঁদের প্রতিনিধিদের ওই দিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে পর্ষদের বিভিন্ন শিবিরে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। ভুল থাকলে পর্ষদের আঞ্চলিক অফিসে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। |