‘নিষ্ক্রিয়তা’ পুরসভার, দরিদ্রেরা বঞ্চিতই
সঞ্জয় চক্রবর্তী |
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে শহরের গরিব মানুষকে আয়ের পথ দেখাতে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে। পুরসভা সূত্রের খবর, তৃণমূল পুর-বোর্ড গঠিত হওয়ার পরে শহরের একটি ওয়ার্ডেও নতুন করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠিত হয়নি। গড়ে ওঠেনি স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালনার জন্য জরুরি নতুন কোনও ‘নেবারহুড কমিটি’ (এনএইচসি)-ও। শহরের ১৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮১টি ওয়ার্ডে এনএইচসি গঠন করেছিল গত বাম পুর-বোর্ড। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ওই পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটেনি। শহরের ৬০টি ওয়ার্ড এখনও স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা নেবারহুড কমিটির তালিকার বাইরে। পুর-আধিকারিকদের মতে, ‘নেবারহুড’ কমিটি হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রাণভ্রমরা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আয়-ব্যয়ের হিসেব থেকে যাবতীয় কাজকর্মের সুষ্ঠু রূপায়ণের মূল দায়িত্ব ‘নেবারহুড’ কমিটির। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘নেবারহুড’ কমিটি গঠন বাধ্যতামূলক। সব ওয়ার্ডে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং নেবারহুড কমিটি গঠিত না-হওয়ার জন্য রাজনৈতিক মতপার্থক্যকেই প্রাথমিক কারণ বলে মনে করছেন পুর-প্রশাসনের একাংশ। পুরসভার সমাজ কল্যাণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ সঞ্চিতা মণ্ডল বলেন, “শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং নেবারহুড কমিটি গঠনের জন্য বারবার কাউন্সিলরদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ২, ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর বরো এলাকায় ওয়ার্ডগুলিতে এই কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।” এই প্রসঙ্গে পুরসভার বিরোধী নেত্রী সিপিএমের রূপা বাগচি বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং নেবারহুড কমিটি গঠিত না-হওয়ায় কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের গরিব মানুষেরা।” |
তোলাবাজির এলাকা ভাগ নিয়ে লড়াইয়েই দমদমে জোড়া খুন হয় বলে পুলিশ নিশ্চিত। বড় পকাই-সহ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে নিহত দুই যুবক, অভিজিৎ সাহা ও কৌশিক রায় তোলাবাজি করছিলেন। মাস কয়েক আগে বড় পকাইদের দলে থাকলেও পরে দল পাল্টে চলে যান বিরোধী গোষ্ঠীতে। অথচ তাঁরা বড় পকাইদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছিলেন। এ খবর জানার পরে তাঁদের দু’জনকে কয়েক বার সাবধানও করে বড় পকাইরা। মনোমালিন্যও হয়। পুলিশ জানায়, জেরায় বড় পকাই স্বীকার করেছে, কৌশিক ও অভিজিতের সঙ্গে তিক্ততা চরমে ওঠে গত ডিসেম্বরে। দমদম মাছবাজার, স্টেশন সংলগ্ন স্থানীয় জুয়ার ঠেক, চোলাইয়ের ঠেকে কারা তোলাবাজি করবে, তা নিয়ে বিরোধ বাধে। ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে বড় পকাইয়ের দলের সঙ্গে কৌশিক ও অভিজিতের এক দফা মারপিটও হয়। সন্ধ্যায় বিষয়টা মিটমাট করে তাদের আর এক বন্ধু বিজয় নিজের জন্মদিন উপলক্ষে দমদম স্টেশনের ধারে অভিজিৎ ও কৌশিককে ডাকে। সেখানে ছিল তোতন, নন্দীবুড়ো-সহ বড় পকাইয়ের পুরো দল। তারা একসঙ্গে মদ্যপান করে। কিছুক্ষণ পরে আসে বড় পকাই, ছোট পকাই ও তাদের দলের জগন্নাথ ও রূপম নামে দুই যুবক। ফের বড় পকাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা হয় অভিজিৎ ও কৌশিকের। পুলিশ জানায়, এর পরেই তাঁদের প্রথমে পাথর জাতীয় ভারী কিছু দিয়ে মারা হয়। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝিলের ধারে ফেলে দেওয়া হয়। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “বড় পকাইয়ের নেতৃত্বেই এই জোড়া খুন, তা নিশ্চিত। তার দলের সঙ্গে কারা যুক্ত ও তাদের বিরোধী গোষ্ঠী কারা, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” |
একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠছে। পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে বিএনআর সাউথ রেল কলোনির বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে একটি গাড়িতে এক যুবক তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “বিনোদ গুপ্ত নামে যে যুবক অপহরণে অভিযুক্ত, সে মেয়েটির দাদার বন্ধু বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, গাড়িতে ওঠার সময়ে মেয়েটি প্রতিবাদও করেনি। ভবানীপুর থেকে গাড়িটি উদ্ধার হয়েছে। রাত পর্যন্ত কেউ মুক্তিপণও দাবি করেনি। এ দিনই বেহালার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ জানায়, হরিদেবপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্র ১৯ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ বলে আগে ডায়েরি হয়। সোমবার অপহরণের অভিযোগ জানিয়ে তার বাবা বলেন, স্কুলের কয়েক মাসের বকেয়া বেতন জমা দিতে বেরিয়েছিল ছেলে, টাকা জমা পড়েনি। দিন কয়েক আগে তাকে পর্ণশ্রী এলাকায় দেখা যায় বলে জেনেছে পুলিশ। |
ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্টের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন এক যুবক। পুলিশ জানায়, বেহালা থেকে মিনিবাসে গার্ডেনরিচ যাচ্ছিলেন গুরুদেব শাহ নামে ওই যুবক। ব্রেসব্রিজের কাছে আচমকাই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। তখন সেখানে ডিউটি করছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিম ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট বরুণ কুমার সাহা। বাসের কন্ডাক্টর তাঁকে এই ঘটনার কথা জানালে বরুণবাবু গুরুদেবকে ট্যাক্সি করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই যুবকের অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। |