ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতির হয়ে তৃণমূলের ওকালত-নামায় সই করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সহ সভাপতি বিশ্বরূপ চট্টোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়। বিশ্বরূপবাবু নিজেই ওকালত-নামায় সই করেছেন। প্রবীরবাবুর ছেলে ওকালত-নামায় সই করেছেন। প্রবীরবাবুর অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে দলের একটি গোষ্ঠী অন্যভাবে দেখানোর চেষ্টা করছেন। সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়ের কাছেও তারা অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “আমার ছেলে আইনজীবী। পেশাগত ভাবে ছেলের একটা ব্যক্তিসত্তা আছে। অথচ বালুরঘাটেরই দলের একটি অংশ আমার রাজনীতির সঙ্গে ছেলের পেশাকে জড়িয়ে কুৎসাতে মেতেছেন। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। এমনকী সংবাদপত্রের ওই খবরের অংশ ফ্যাক্স করে রাজ্য নেতা মুকুল রায়কে পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমি তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী।” বিশ্বরূপবাবু বলেন, “ছাত্র নেতাদের হয়ে মামলা লড়া যাবে না, এমন নির্দেশ দল থেকে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে এখনও দলের তরফে কোনও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি।” গত ২৯ জানুয়ারী বালুরঘাটে উত্তরবঙ্গ উৎসব প্রাঙ্গণে ঢুকে মন্ত্রীদের কালো পতাকা দেখিয়ে গ্রেফতার হন ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি রাহুল রায়, জেলা সভাপতি সৌরভ প্রসাদ সহ মোট ৭ জন কর্মী সমর্থক। পরদিন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে আদালতে পাঠায়। ধৃতদের জামিনের পক্ষে বালুরঘাট আদালতের অন্তত ৩০ জন আইনজীবী বিচারকের কাছে আবেদন করেন। তাদের মধ্যে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি এবং তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদকের আইনজীবী ছেলে শুভ্রপ্রকাশবাবু জামিনের ওকালত নামায় সই করেন। বিচারক অবশ্য ধৃতদের জামিনের আবেদন নাকচ করে ৮দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক বিপ্লব মিত্র বলেন, “ওই বিষয়টি নিয়ে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা জানা নেই। খোঁজ নেব। তবে এই ধরনের মামলায় তৃণমূলের কোনও নেতার ছেলের না জড়ানোই উচিত ছিল।” |