ছুটির দিনে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা না মেলার অভিযোগে গোলমাল বাধল শহরের অন্যতম প্রধান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। পথ-দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক যুবকের চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে রবিবার এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, ওই যুবক-সহ তিন জনকে দুপুর ১টা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও তাঁদের ঠিক মতো চিকিৎসা হয়নি। উপরন্তু এক জনকে রেফার করা হয় পিজিতে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা আহতদের পরিজনদের উপর চড়াও হন বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। |
পুলিশ জানায়, প্রদীপ দাস, মুস্তাফা কামাল ও আব্দুল মহিম নামে নারকেলডাঙার তিন বাসিন্দা এ দিন ডানকুনি থেকে টেম্পোয় চেপে আসছিলেন। পথে এক দুর্ঘটনায় টেম্পোর চালক প্রদীপ দাসের ডান হাত ভেঙে যায়। মুস্তাফার মাথায় আঘাত লাগে। আহত হন আব্দুলও। মহম্মদ রাজু নামে তাঁদের এক জনের আত্মীয় অভিযোগ করেন, “দুপুর একটা নাগাদ আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও কোনও সিনিয়র চিকিৎসক তাঁদের দেখভাল করেননি। প্রায় বিনা চিকিৎসাতেই তিন জনকে ফেলে রাখা হয়। নার্সরাও দুর্ব্যবহার করেছেন। উপযুক্ত চিকিৎসার দাবি জানালে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের উপরে চড়াও হন। ধাক্কাও মারেন তাঁরা।” আহত প্রদীপ দাস বলেন, “দু’ঘণ্টারও বেশি হয়ে যাওয়ার পরেও দুটো ইঞ্জেকশনের জন্য বাড়ির লোককে এ দিক-ও দিক ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। বার বার ডাক্তারদের ডেকেও সাড়া পাওয়া যায়নি।”
শেষ পর্যন্ত প্রদীপ ও আব্দুলকে ভর্তি করা হলেও মুস্তাফাকে রেফার করা হয় পিজিতে। কেন তাঁকে রেফার করা হল? মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার মুক্তিসাধন মাইতি বলেন, “যাঁদের অবিলম্বে ভর্তি করা প্রয়োজন ছিল, তাঁদের নেওয়া হয়। অন্য জনকে কেন রেফার করা হল, তা সোমবার জেনে বলতে পারব। তবে পরিকাঠামো নেই, এই অভিযোগ সত্যি নয়।”
গত ২৩ ডিসেম্বর ওয়েলিংটনে এক পথ দুর্ঘটনায় ৩৫ জন আহত হয়েছিলেন। তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেই সময়েও চিকিৎসা মেলেনি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের অভাবে আহতদের বাড়ির লোকজনেই ট্রলি ঠেলে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে হয়েছিল বলে অভিযোগ। |