|
|
|
|
অস্ত্র অনুন্নয়নই |
দঃ ২৪ পরগনাতেই পরিবর্তনের ডাক গৌতমের |
শুভাশিস ঘটক • রায়দিঘি |
গত পঞ্চায়েত ভোটেই যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রথম পরিবর্তনের ছায়া দেখেছিল রাজ্য, এ বার ভোটে সেখানেই পাল্টা পরিবর্তনের ডাক দিলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব।
২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল যখন দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ দখল করে, তখন রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। তৃণমূল সেই ভোটের প্রচারে হাতিয়ার করেছিল বামেদের ‘অনুন্নয়ন’কে। রবিবার রায়দিঘি থানার পাশের মাঠে এক জনসভায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দেব পাল্টা হাতিয়ার করলেন তৃণমূলেরই ‘অনুন্নয়ন’কে। গৌতমবাবু বলেন, “২০০৮ সালে পঞ্চায়েতে আপনারা তৃণমলকে ভোট দিয়েছেন। ২০০৯ সালে লোকসভা এবং ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আপনারা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। দেখছেন তো সরকার কী কাজ করছে! কোথাও কোনও উন্নয়ন নেই।” এর পরেই তাঁর সংযোজন, “এ বার পঞ্চায়েতে আপনারা আমাদের পক্ষে ভোট দিলে জেলা পরিষদ আমাদের ক্ষমতায় আসবে। তার পর প্রতিযোগিতা হোক, দেখুন কারা কাজ করে।” এ রাজ্যে ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার বাড়বাড়ন্তের পিছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও কটাক্ষ করেন গৌতমবাবু। তিনি বলেন, “গ্রামের লোকেরা ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থার পাল্লায় পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। এ দিকে মুখ্যমন্ত্রী ওই সব সংস্থার মালিকদের সঙ্গেই বৈঠক করছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ টিভি চ্যানেল, কেউ আবার খবরের কাগজের মালিক।” সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তীও। শনিবার এক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিডিওদের ফুটবল খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে এ দিন সুজনবাবুর প্রশ্ন, “বিডিওরা ফুটবল খেলবে, না উন্নয়নে মনোনিবেশ করবে?” বাম আমলের কাজের খতিয়ান দিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “বামফ্রন্ট আমলে সুন্দরবনে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। গত ১০ বছরে সুন্দরবনে ২২টা সেতু হয়েছে। আমরা কাকদ্বীপে লট-৮ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সেতু নির্মাণ করব বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করেছিলাম। অর্থও মঞ্জুর হয়ে গিয়েছিল। আচমকা কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়ের দফতর থেকে একটি চিঠি আমার কাছে আসে। বলা হয় ওই সেতু ওদের দফতরই তৈরি করবে। কিন্তু আজও তা হয়নি।” |
|
|
|
|
|