মাঝ রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দুই বয়োবৃদ্ধ ভাই বোনের হাত, পা ও মুখ বেঁধে সশস্ত্র ডাকাতি হল রঘুনাথগঞ্জ শহরের বালিঘাটা পল্লিতে। শনিবার গভীর রাতে আট নয় জনের সশস্ত্র ডাকাত দলটি মিনিট চল্লিশের অপারেশন চালিয়ে কয়েক ভরি সোনার গয়না ও নগদ কয়েক হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। ঘরের মধ্যে সমস্ত বাক্সে তালা ভেঙে তচনচ করেছে তারা। ভেঙেছে আলমারির লকারও। অপারেশন শেষে তান্ডব ডাকাতেরা ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে গলায় ভোজালি ধরে শাসায়, রাতে ঘর থেকে বেরোলে ঘুরে এসে খুন করব। তাই সকাল পর্যন্ত এই ডাকাতির কথা অজানাই ছিল প্রতিবেশীদের কাছে। সকালে দোতলা থেকে এক প্রতিবেশীকে ঘটনার কথা জানান বৃদ্ধা। তারাই খবর দেন রঘুনাথগঞ্জ থানায়।
বালিঘাটার সদর রাস্তার উপর ওই দোতলা বাড়িতে থাকেন আশি উত্তীর্ণ শঙ্করীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর বৃদ্ধা বোন পদ্মরানি মুখোপাধ্যায়। দোতলার ঘরে খাটের উপর ঘুমিয়েছিলেন শঙ্করীবাবু। ওই ঘরেই মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন বোন পদ্মরানি। মুখোপাধ্যায় বাড়ির অদূরেই রয়েছে সশস্ত্র পুলিশের ব্যারাক, এসডিও এবং এসডিপিও-র সরকারি আবাসন। কিন্তু দিনের আলো ফোটার আগে ঘুণাক্ষরেই কেউ টের পায়নি ডাকাতির ঘটনা। পদ্মরানিদেবী বলেন, ‘‘দরজায় লাথি মেরে ছিটকিনি ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়েছে চার যুবক। এক জনের মুখ ছিল কাপড়ে ঢাকা। বারান্দায় আরও জনা চারেক। তাদের মুখ খোলা। সকলেরই বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। লকারে ছিল বেশ কয়েকভরি সোনার গয়নাও কয়েক হাজার টাকা।’’ পুলিশ অবশ্য এখনও এই ডাকাতির কোনও দিশা খুঁজে পায়নি। মুখোপাধ্যায় বাড়িতে যাতায়াত আছে এমন লোকেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা বাড়িতে গয়না ও টাকা পয়সার খবর জানত। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘এখনও অবধি ডাকাতির কোনও সূত্র মেলেনি। তবে অভিযুক্তেরা ওই পরিবারের সঙ্গে পূর্বপরিচিত বলে মনে হচ্ছে।’’ এলাকার কাউন্সিলর বিকাশ নন্দ বলেন, ‘‘সদর রাস্তার উপর ওই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।’’ |