|
|
|
|
রাস্তা সারানোর দাবিতে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
রাস্তা সারানোর দাবিতে আজ, সোমবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য এগরার কয়েকটি রুটে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিল আইএনটিইউসি (ইনটাক)। এর জেরে এগরা-সোলপাট্টা, এগরা-রামনগর, আলংগিরি-চাটলা রুটগুলিতে চলবে না আন্তঃরাজ্য ও আন্তঃজেলা পরিবহণের প্রায় ১০০টি বাস, ১৫টি মিনিবাস ও ৭০টি ট্রেকার। শুধু যাত্রী পরিবহণই নয় পরিবহণ ধর্মঘটের জেরে ওড়িশা ও কলকাতার সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের ডাকা এই ধর্মঘটকে মালিক সংগঠনগুলিও সমর্থন জানিয়েছে বলে দাবি ইনটাকের এগরা মহকুমা সভাপতি চন্দ্রশেখর রায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরা মহকুমার ওই রাস্তাগুলি গত দু’বছর ধরে বেহাল। এর উপর গত কয়েকমাস ধরে ওই রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে পাথর ওঠে আসায় তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। রাস্তার সামান্যতম কাজ না হওয়ায় ছোট বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। ক্ষতি হয় গাড়িরও। রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে শ্রমিক সংগঠনগুলি এর আগে অবরোধ, অবস্থান বিক্ষোভ, স্মারকলিপি, কর্মবিরতি পালন করলেও আশ্বাসের বেশি হয়নি কিছুই বলে অভিযোগ। চন্দ্রশেখর রায় বলেন, “প্রশাসন কথা না রাখলেও আমরা অপেক্ষা করেছি। কিন্তু আর নয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত স্থানীয় প্রশাসন থেকে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি। কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।” |
|
এমনই অবস্থা কসবাগোলা-আলংগিরি রাস্তার। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
এগরার মহকুমাশাসক অসীমকুমার বিশ্বাস বেহাল রাস্তার কথা স্বীকার করে বলেন, “রাস্তা সত্যিই চলাচলের অযোগ্য। জেলার উন্নয়ন বৈঠকে তা বারবার জানানো হয়েছে। সোমবার ওই শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসে গাড়ি চালানোর অনুরোধ জানানো হবে।”
পূর্ত দফতরের কাঁথি হাইওয়ে সাব ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র নিরঞ্জন মাহাতো রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, “এগরা-রামনগর রোডের প্রথম দশ কিলোমিটারের জন্য ৬ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা, এগরা-সোলপাট্টা রাস্তার কুদি থেকে আলংগিরি সাড়ে ছয় কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৩ কোটি ৫ লক্ষ টাকা ও আলংগিরি থেকে কশবাগোলা রাস্তার জন্য ৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে বিআরজিএফ থেকে। পুজোর আগে থেকে কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে। কিন্তু তারা কাজ শুরুই করছে না। এ কারণে ওই সংস্থাকে পদ্ধতিগত ভাবে শো-কজ করা হয়েছে। তিনি জানান, “যাত্রী স্বার্থে আমরা পূর্ত দফতর থেকে ওই রাস্তায় যৎসামান্য কাজ করেছিলাম। কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু না করলে ওই ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্মঘট স্থগিত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ওই সংগঠনের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসা হবে।” |
|
|
|
|
|