পুকুর রয়েছে একই রকম। অথচ পঞ্চায়েতের খাতা বলছে একশো দিনের কাজে তা সংস্কার হয়ে গিয়েছে, পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুললেন পুকুরের মালিকেরা। সিপিএম পরিচালিত কাটোয়া ১ ব্লকের আলমপুর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে মহকুমাশাসক ও বিডিওর কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। তবে আলমপুর পঞ্চায়তের সিপিএমের উপপ্রধান বাপন বীটের দাবি, “অভিযোগ মিথ্যা। পুকুর সংস্কার করার পরই খাতায় উল্লেখ করা হয়েছে।” কাটোয়ার এসডিও আর অর্জুন বলেন, “একশো দিনের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।”
পুকুর মালিকদের অভিযোগ, আলমপুর পঞ্চায়েতের গোশুম্বা গ্রামের তালা পুকুরটি সংস্কারের নামে দুর্নীতি হয়েছে। পুকুরের মালিক মন্টু সাহা, দোলারাম মুখোপাধ্যায়, হেলারাম মুখোপাধ্যায়, এককড়ি বিশ্বাস, দিলীপ বিশ্বাস, সান্ত্বনা বিশ্বাসরা লিখিত অভিযোগে জানান, তালা পুকুরের পরিমাণ দু’একর (জেএল নম্বর: ৪২, দাগ নম্বর: ১৫৯৩)। |
পুকুরটি একশো দিনের কাজে সংস্কার হয়েছে বলে পঞ্চায়েতে নথিভুক্ত হয়েছে (প্রকল্প নম্বর: ২৪-০১-০১-০০২)। অথচ তাঁরা কিছুই জানেন না। তাঁরা বলেন, “পঞ্চায়েত মৌখিক ভাবে একবার পুকুর সংস্কার করার কথা বলেছিল। তারপরেই আশ্চর্য উপায়ে পঞ্চায়েতের খাতায় সংস্কার হয়ে গেল।”
তবে পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, ছ’দিন ধরে ওই পুকুরটি সংস্কার করা হয়েছে। ১৫০০ শ্রমিক কাজ করেছেন, খরচ হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। ওই পুকুরের জল সেচের কাজে ব্যবহৃত হয়। মালিকদে প্রশ্ন, “জল তো শুকিয়ে ফেলা হয়নি, তাহলে সংস্কার হল কীভাবে?” ওই গ্রামের দুই কংগ্রেস সদস্য সুজাতা সাঁই ও শ্যামলী প্রামাণিকেরও দাবি, পুকুর আদৌ সংস্কার হয়নি।
কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, আলমপুর গ্রামে স্বর্ণকার গোরে পুকুরে একশো দিনের কাজে ঘাট তৈরি হয়নি। অথচ পুকুরের ধারে একটি বোর্ডে ঘাট তৈরি ৩ জুন শেষ হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। পরে আলমপুর পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য লিপিকা মণ্ডল কাটোয়া ১ বিডিওর কাছে অভিযোগ করেন। তদন্ত শুরু হতেই তড়িঘড়ি আলমপুর পঞ্চায়েতের তরফে স্বর্ণকার গোরে পুকুরের ঘাট তৈরি করে দেওয়া হয়। তবে আলমপুর পঞ্চায়েতের সিপিএমের উপপ্রধান বাপন বীট জানান, ১৫ দিন আগে ওই স্বর্ণকার পুকুরের ঘাট তৈরি করা হয়েছে। ঘাট তৈরির পর টাকা দেওয়া হয়েছে। |