সরকারি হাসপাতালে তদন্তে যাওয়া সুপারকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতালের ঘটনা। সুপার বুদ্ধদেব মন্ডল ঘটনাটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কাজল মন্ডলকে জানিয়ে বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সুপার জানান, গত দুমাসের মধ্যে বহির্বিভাগের এক্স রে যন্ত্রটি দু’দফায় ২০ দিন বন্ধ রয়েছে। অথচ সেখানকার টেকনিসিয়ানের বাড়িতে চলছে এক্স-রে ব্যবসা। এই দুইয়ের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠায় তদন্তে নামেন সুপার। এ দিন তিনি হাসপাতালের এক্স-রে ইউনিটে গেলে তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, “মাঝেমধ্যেই হাসপাতালের এক্স রে ইউনিট অচল হচ্ছে। অথচ একজন টেকনিসিয়ান বাড়িতে এক্স রে ইউনিট খুলে ব্যবসা করছেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামায় আমাকে হেনস্থা করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানিয়েছি।” দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ পেয়ে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বাবলু কুন্ডু। বাবলুবাবু অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, “অসুস্থ থাকায় আমি হাসপাতালে যাইনি। ঘটনার সময়ে ছিলাম না। অথচ বিনা কারণে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, দিনের পর দিন এক্স রে যন্ত্র সারানোর জন্য চিঠি দিলেও সুপার ব্যবস্থা নেননি। পাশাপাশি, তিনি বলেন, “বাড়িতে এক্স রে-এর ব্যবসা অনেকদিন আগেই তুলে দিয়েছি।” হাসপাতাল সূত্রের খবর, আরএসপি প্রভাবিত জয়েন্ট কাউন্সিল অব হেলথের সদস্য হাসপাতালের বহির্বিভাগের টেকনিশিয়ান বাবলুবাবু দুবছর আগে মালদহ হাসপাতালে শাস্তিমুলক বদলি হন। গত বছর বালুরঘাটে ফেরেন। কিছুদিন পরে ফের রায়গঞ্জ হাসপাতালে বদলি করা হয় তাঁকে। ৬ মাসে আগে তিনি ফের বালুরঘাটে ফেরেন। |