একটি বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতারের ঘটনায় শনিবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার জয়পুরের কাশমলি গ্রামে। ধৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে প্রায় ছ’ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসী। পুলিশকে দীর্ঘ ক্ষণ আটক করে রাখা হয়। পুলিশের একটি গাড়ি এবং যাঁর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল, সেই বাড়িটি ভাঙচুর করা হয়। শেষমেশ বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্ব গিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি ওই গ্রামের ব্যবসায়ী শঙ্কর মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে মারধর করে কয়েক লক্ষ টাকার গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় যুক্ত অভিযোগে পুলিশ শনিবার ভোরে গ্রামে হানা দিয়ে তিন জনকে ধরে। এ কথা জানাজানি হতেই ধৃতেরা নির্দোষ এই দাবি তুলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন কয়েকশো মহিলা ও পুরুষ। তাঁরা প্রথমে শঙ্করবাবুর বাড়িতে হামলা চালান। |
আসবাবপত্র তছনছ করা হয়। পুলিশ শঙ্করবাবুদের উদ্ধার করতে গেলে হামলাকারীরা পুলিশের গাড়ি আটকান। ধৃতদের ছাড়া না হলে আটক পুলিশকর্মীদের ছাড়া হবে না বলে বিক্ষোভকারীরা জানিয়ে দেন। ভোর ৫টা থেকে অবরোধ করা হয় কুলিয়াঘাট-বাকসি রাস্তাটি। ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শ্যামলকুমার সামন্তও। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের ধরার নামে নিরীহ গ্রামবাসীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে পুলিশ। প্রায় প্রতি রাতে পুলিশ গ্রামে হানা দিচ্ছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তদন্তে নিশ্চিত হয়েই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ দিকে পুলিশি অভিযান চলাকালীন গ্রামের একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের খড়ের চালে আগুন ধরে যায়। বিক্ষোভকারীরা অবশ্য জানান, তাঁরা ওই ঘটনায় যুক্ত নন। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালকমণ্ডলীর কাছ থেকে অভিযোগ মিললে তদন্ত করা হবে। |