রাজ্যের বহু জেলাতেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন তহবিলের টাকা পড়ে রয়েছে। কোথাও আবার কাজ না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা ফেরত যাচ্ছে। শনিবার এই অভিযোগ করেন খোদ তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ। তিনি রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের উপদেষ্টাও। তবে সুলতানের বক্তব্য, এই চিত্র কেবল এই রাজ্যের নয়, গোটা দেশেরই।
শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সুলতান আহমেদ বলেন, “রাজ্যের বহু জেলায় সংখ্যালঘু উন্নয়ন তহবিলের ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত পড়ে আছে। কাজ না হওয়ায় কিছু টাকা দিল্লিতে ফিরেও যাচ্ছে।” তাঁর পরামর্শ, এই ব্যাপারে কেবল অভিযোগ জানালেই হবে না। মুসলিম সংগঠনগুলিকে জেলাশাসকদের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে কাজ আদায় করে নিতে হবে। পাশাপাশি সুলতানের দাবি, বাম আমলে সংখ্যালঘুদের জন্য কোনও কাজই না হলেও তৃণমূল সরকার অনেক কিছুই করেছে। আরও অনেক কাজ করার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঈদেন ইমাম ক্বারী কাজী ফজলুর রহমানও সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে টাকা খরচ না হওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, “দাবি আদায়ে সংখ্যালঘুদের এক জোট হতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা-সমিতিতে বার বারই বলেছেন, সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের কাজ ৯০ বা ১০০ শতাংশই হয়ে গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ঈদেন ইমাম এবং সুলতানের মতো নেতার বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে অনেকেই মনে করছেন। এর আগে রেড রোডে ঈদের নমাজের জমায়েতে এবং তার পরে বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন প্রসঙ্গে ইমাম রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন।
এ দিন তাঁর আরও অভিযোগ, বিভিন্ন কারণে রাজ্যে গ্রেফতার হওয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু মানুষই পাঁচ-সাত বছর ধরে বন্দি। অথচ তাঁদের বিচার শুরু হচ্ছে না। সুলতানও তাঁর বক্তব্য সমর্থন করেন। ইমামের দাবি, বিষয়টি তিনি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নজরে এনেছেন। |