|
|
|
|
নির্বাচনী ভিডিও-বিজ্ঞাপন আটক, ক্ষুব্ধ ত্রিপুরা কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
রাজ্যর নির্বাচন দফতরের ‘খামখেয়ালিপনায়’ কার্যত অনাস্থা প্রকাশ করল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন জানান। আগামী নির্বাচন উপলক্ষ্যে কংগ্রেসের তরফে একটি ভিডিও বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়। তা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারের জন্য তারা ভিডিও কপি-সহ রাজ্য নির্বাচন দফতরের অনুমতির জন্য আবেদন জানায়। অনুমতিও মেলে। টিপিসিসি মুখপাত্র অশোক সিন্হা জানান, ‘‘এ জন্য যা যা করণীয় এবং যা শর্ত পূরণ করার প্রয়োজন, সে ভাবেই দলের তরফে নিবার্চন দফতরে আবেদন করা হয়েছিল। তারা অনুমতিও দেয়।’’
নির্বাচন দফতরের ‘স্টেট লেভেল মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি’ সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে কংগ্রেসকে অনুমতি দিয়েছিল ২৭ জানুয়ারি। অনুমতি পাওয়ার পর কংগ্রেসের তরফে স্থানীয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সেই ‘ভিডিও বিজ্ঞাপন’ প্রচারের জন্য পাঠিয়েও দেওয়া হয়। কোনও কোনও স্থানীয় চ্যানেল সেটা দেখানোও শুরু করে। এক দিন বাদে, অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের তরফে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ জানানো হয় দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। ২৯ তারিখেই পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক কিরণ গিত্তের নির্দেশে সেই ‘ভিডিও’ দেখানো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়।
কাল প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক সিনহাকে রাজ্যের নির্বাচন দফতর ডেকে পাঠায়। টিপিসিসির মুখপাত্র আজ সাংবাদিকদের জানান, ‘‘এই ভিডিও-র বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তিকর কিছু না পাওয়ায় এবং তার সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার জন্য রাজ্যের নির্বাচন দফতরের সংশ্লিষ্ট অফিসাররা দুঃখ প্রকাশও করেন।’’ কিন্তু এর পরেও ভিডিওটি প্রচারের ক্ষেত্রে যে ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করেছে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক, তা প্রত্যাহার করা হয়নি। অশোকবাবুর বক্তব্য, ‘‘১৯ জানুয়ারি শহরের আস্তাবাল ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণে কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার তথা কংগ্রেস দলকে জড়িয়ে যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছিলেন, তাতে নির্বাচনী আচরণবিধি সরাসরি লঙ্ঘিত হয়েছে।’’ বিষয়টি কমিশনের গোচরে আনা হয়েছে। ১০ দিন কেটে যাওয়ার পর আগরতলার মহকুমা শাসককে সেই ভিডিও সংগ্রহ করার কেবল ‘নির্দেশ’ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘনের কারণে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র। অশোকবাবুদের ক্ষোভ, ‘‘নির্বাচন কমিশনের স্ববিরোধী ভূমিকাতে আমরা অসন্তুষ্ট।” |
|
|
|
|
|