|
|
|
|
বিহার |
বিধায়কের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ধৃত দুই টিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
সাধারণ যাত্রী তো ছাড়, ট্রেনে নিস্তার পেলেন না বিধায়ক ও তাঁর পরিবার। তাঁদের উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠল রেলকর্মীদের বিরুদ্ধেই। দানাপুর-হাওড়ার ট্রেনে এক বিজেপি বিধায়কের স্ত্রীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার এবং বিধায়কের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। কাল ঘটনাটি ঘটেছে পটনা সিটি স্টেশনে। পূর্ব মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অমিতাভ প্রভাকর বলেন, “রেলের কয়েকজন কর্মী তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। রেলকর্মীরা ট্রেনিং নিতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, ওরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হলে সব জানা যাবে।”
গত কাল রাত ৯টা ১০ মিনিটে দানাপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি পটনা স্টেশন থেকে ছাড়ে। ট্রেনের এসি-২ কামরায় ভ্রমণ করছিলেন ভোজপুরের আসিয়াও-এর বিজেপি বিধায়ক শিবেশ কুমার ও তাঁর স্ত্রী বিজয় লক্ষ্মী। সঙ্গে ছিল ছয় মাসের মেয়েও। তাঁদের আসনের সামনে চারটি আসন খালি ছিল। তাঁদের ছিল ১৭ এবং ১৮ নম্বর আসন। ট্রেনটি পটনা ছাড়ার কিছু পরেই সেখানে প্রায় ১০ জন লোক এসে মদ খায় বলে অভিযোগ। আগে থেকেই তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেই সময় তারা উচ্চস্বরে কথাবার্তাও বলতে থাকে। প্রথমে বিধায়কের স্ত্রী প্রতিবাদ করেন। টিটিকে ডাকা হয়। জিতেন্দ্র নামে এক টিটি এলে তাঁকে ঘটনার কথা জানালে কিছুই হয়নি। বিধায়কের অভিযোগ, “সেই সময় ওই টিটি আমাদের বলেন, এই কোচের দায়িত্ব আমার নয়। তবে এরা সকলেই রেলের টিটি। কলকাতায় ট্রেনিং নিতে যাচ্ছে। কোনও সমস্যা হবে না। এই বলে টিটি সেখান থেকে চলে যায়।”
এরপরেই বিধায়কের স্ত্রী বিহার মহিলা হেলপ লাইনে ফোন করেন। পটনা সিটি পর্যন্ত এরকম চলতে থাকে। বিধায়কের অভিযোগ, “ওই টিটি চলে যাওয়ার পরে অভিযুক্তরা আরও হইচই করে এবং আমার সঙ্গে ধাক্কাধাকি করতে থাকে। আমাকে মোকামায় গুলি করে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।” বিধায়ক চেন টেনে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। সেখানে আসেন অখিলেশ কুমার নামে অন্য এক টিটি। তিনি ওই কোচের দায়িত্বে। তাঁর কাছে এই ব্যাপারে প্রতিবাদ জানানো হয়। ইতিমধ্যে হেলপ লাইন সক্রিয় হয়ে সব জায়গায় যোগাযোগ করে। ঝামেলা চলতে থাকে। তারই মধ্যে বখতিয়ারপুরে ট্রেনটি পৌঁছলে রেল পুলিশের একটি দল সেখানে আসে। গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। তাদের মধ্যে একজনের টিটি পরিচয়পত্রটি নিয়ে নেয় পুলিশ। এরপর ওই যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে রেল পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিধায়ক বলেন, “আমার পরিচয় জানা সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ যাত্রীদের তা হলে ট্রেনে নিরাপত্তা কোথায়? রেলের কর্মীরাই যাত্রীদের সমস্যায় ফেলছে। তাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করছে।” রেল পুলিশ সুপার বলেন, “ট্রেন থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিধায়কের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়। রাস্তায় আর কোনও সমস্যা হয়নি। তবে কী ঘটেছিল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে।” |
|
|
|
|
|