|
|
|
|
ফোন নম্বর দিলেন রাহুল |
আবেগে সনিয়া জড়িয়ে ধরলেন দামিনীর মাকে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। মেয়েকে কত কষ্ট করে মানুষ করছিলেন, সে কাহিনি শুনতে শুনতে দামিনীর মাকে জড়িয়ে ধরলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।
গত কালই কেন্দ্রীয় সরকার ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য অর্ডিন্যান্স ঘোষণা করেছে। এর পর আজই দিল্লিগণধর্ষণে নিহত মেয়েটির বাড়িতে হাজির হলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। সঙ্গে ছিলেন পুত্র, কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীও।
দামিনীর দুই ভাই, এক জন দ্বাদশ, অন্য জন দশম শ্রেণি পাশ করেছে। রাহুল তাদের সঙ্গেও কথা বলেন। নিজের ফোন নম্বরও দিয়ে এসেছেন। প্রায় এক ঘণ্টা কাটান তাদের বাড়িতে কাটান দু’জনে।
উল্লেখ্য, বর্মা কমিটির প্রস্তাব ঘোষণার পর দামিনীর বাবাই সনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। সূত্রের খবর, মেয়েটির পরিবার কংগ্রেস সভানেত্রীর কাছে কোনও রকম ক্ষোভ, অভিযোগ কিংবা দাবি জানায়নি। বরং তাঁরা সরকারের পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আজই, দিল্লি গণধর্ষণ মামলায় পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করল বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির তেরোটি ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। যার মধ্যে গণধর্ষণ, খুন এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার বিচার শুরু হওয়ার কথা।
পুলিশ সূত্রে খবর, চার্জ গঠনের জন্য এ দিন ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে নিয়ে আসা হয় পাঁচ অভিযুক্তকে। সরকারি পক্ষের আইনজীবী তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় খুন, গণধর্ষণ, ডাকাতি এবং ষড়যন্ত্রের চার্জ গঠনের পক্ষে সওয়াল করেন। পরে সরকারি এবং অভিযুক্ত পক্ষের কৌঁসুলির বাদানুবাদ শেষ হলে চার্জ গঠন করে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক তৈরি, খুনের চেষ্টা, ডাকাতির চেষ্টায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত হানা, ডাকাতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, খুন ইত্যাদি চার্জ গঠন করেছে আদালত।
তবে ষষ্ঠ অভিযুক্তের বিচার চলবে অন্য আদালতেই। সম্প্রতি তাকে ‘নাবালক’ ঘোষণা করে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। তাই জুভেনাইল জাস্টিস আইনের আওতাতেই বিচার শুরু হবে। দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে অবশ্য সব চেয়ে নৃশংস বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই ষষ্ঠ অভিযুক্তকেই। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের এ হেন সিদ্ধান্তে অখুশি গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর পরিবার। |
|
|
|
|
|