মুর্শিদাবাদ পুর এলাকার ৬ জন বাসিন্দার শেষ পর্যন্ত চোখ নষ্ট হয়েছে কিনা তা জানতে বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গড়ল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তিন সদস্যের ওই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে ডেপুটি সিএমএইচ-২ পার্থপ্রতিম গুপ্তকে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয় চক্রবর্তী বলেন, “ছানি অপারেশনের তাঁরা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে কিনা, হারালে কতটা হারিয়েছেন তা জানার জন্যই গড়া হয়েছে ওই তদন্ত কমিটি। প্রয়োজনে কমিটি চক্ষু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখে তাঁদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।” রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার আওতায় বুক-পেট ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট-সহ বিভিন্ন উপসর্গের চিকিত্সার জন্য ওই ৬ জনকে গত ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে একশ্রেণির দালাল। অভিযোগ, এর পরেই তাঁদের জোর করে ডান চোখের ছানি কাটা হয়। অপারেশনের পরই চোখে দেখতে পাচ্ছেন না বলে তাঁরা বুধবার বহরমপুর থানায় অভিযোগ করেন। তার পরেই এ দিন তদন্ত কমিটি গড়ল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, তাঁরা এখন ঝাপসা দেখছেন। সুপার কাজলকৃষ্ণ বণিক অবশ্য বলেন, “এ দিন ওই রোগীদের চোখের বেশ কিছু পরীক্ষা হয়েছে। শুক্রবারও করা হবে কিছু পরীক্ষা। তার পরেই বোঝা যাবে তাঁরা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন কিনা।”
|
বারুইপুরের রামনগরে একটি মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রীরা পান্তাভাত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে অন্তত ৬৩ জন ছাত্রীকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে সুপার কুমারকান্তি দাস বলেন, “কয়েক জন ছাত্রীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।” ওই মাদ্রাসা তরফে জানানো হয়, সকালে ছাত্রীদের পান্তাভাত খেতে দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শিখা অধিকারী হাসপাতালে যান। কী ভাবে বিষক্রিয়া হল, তা পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি। |