তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে এ বার হামলা চলল সংগঠনের কর্মীদের বাড়িতে। জখম হলেন বাড়ির মহিলা, বৃদ্ধেরাও।
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে হরিপুর নেতাজি শতবার্ষিকী কলেজ এবং সংলগ্ন এলাকায় অশান্তির ঘটনায় ব্লক টিএমসিপি সভাপতি পাপন সরকার-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বারাসত আদালত সকলের জামিন মঞ্জুর করেছে। বিবদমান দু’পক্ষকেই ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা টিএমসিপি সভাপতি কালাম মণ্ডল।
এই কলেজে ক্ষমতা দখল নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল দীর্ঘ দিনের। সংগঠনের দুই নেতা প্রদীপ সিংহ ও পাপন সরকারের দলবলের মধ্যে একাধিক বার গোলমাল ছড়িয়েছে কলেজে। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার দুই পদাধিকারিকের তাতে ‘ইন্ধন’ আছে বলে দলেরই একটি সূত্রের খবর। |
বুধবার নবীনবরণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের উত্তেজনা ছিল। অনুষ্ঠানের জন্য ছাপানো হয়েছিল দু’টি আমন্ত্রণপত্র! অনুষ্ঠান চলাকালীনই পাপন সরকারের অনুগামী এক ছাত্রকে ছাত্র-সংসদের সহ সভাপতি বান্টু মিত্র মারধর করেন বলে অভিযোগ। বান্টু আবার প্রদীপের ‘অনুগামী’ বলে পরিচিত। ওই ঘটনার জেরে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। সন্ধের দিকে কল্যাণগড়ে শুরু হয় হামলা, পাল্টা হামলা। পাপন ও তাঁর অনুগামীরা বান্টুর বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। প্রহৃত হন বান্টুর দাদু। পাল্টা হামলা চলে পাপন ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অন্তু বিশ্বাস, সুদীপ্ত দাশগুপ্তদের বাড়িতে। চোট পান অন্তুর মা। প্রদীপ ও তাঁর দলবল এই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ। কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক জয়া দত্তের বাড়িতেও হামলা হয়। জেলা টিএমসিপির প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় রাহা, পাপনেরা ওই ঘটনায় জড়িত বলে দাবি জয়ার। হামলাকারীরা লুঠপাট চালায় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। দু’পক্ষই রাতে অশোকনগর থানায় অভিযোগ করে। পাপন ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ শৌভিক ঘোষ, প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সুগত সেন। |