ফের গন্ডারের দেহ মিলল কাজিরাঙার কাছেই। আজ সন্ধ্যায় গোলাঘাটের নুমালিগড় এলাকায় একটি গন্ডারের দেহ মেলে। তবে শিকারিরা তার খড়্গটি কেটে নিয়ে যেতে পারেনি। গত কাল থেকেই উদ্যানের বাইরে বের হয়ে ঘুরছিল গন্ডারটি। এই নিয়ে শুধু জানুয়ারি মাসেই চোরাশিকারিদের হাতে রাজ্যে ৭টি গন্ডারের মৃত্যু হল। ধাক্কা খেল গন্ডার সংরক্ষণ ও প্রতিস্থাপনের কাজ। কাজে গাফিলতির জন্য, আজ কাজিরাঙার পাঁচ বনকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি, গন্ডার শিকার যে ভাবে বাড়ছে তার মোকাবিলা করতে অসম সরকার একটি ‘রাইনো টাস্ক ফোর্স’ গড়েছে। গত কাল চিড়িয়াখানায় টাস্ক ফোর্সের বৈঠক বসে। রাজ্যের গন্ডার আবাসগুলিতে নিরাপত্তা দৃঢ় করার পাশাপাশি ২০২০ সালের মধ্যে রাজ্যে গন্ডারের সংখ্যা ৩০০০-এর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান মুখ্য বনপাল সুরেশ চাঁদ ছাড়াও টাস্ক ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত এডিজি, কাজিরাঙা, মানসের অধিকর্তা, ওরাং, পবিতরা, লাউখোয়া-বুড়াচাপোড়ি, ডিব্রু-শইখোয়ার ডিএফও, পশুচিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের ডিন ও বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা বৈঠকে হাজির ছিলেন। রাজ্যে গন্ডারের বংশবিস্তার, প্রতিস্থাপন, প্রজননের বর্তমান ধারা অব্যহত থাকলে আগামী সাত বছরের মধ্যে গন্ডারের সংখ্যা সহজেই তিন হাজার ছাড়াবে বলে সবাই আশাবাদী। তবে মানস, ওরাং, কাজিরাঙায় জঙ্গল থেকে গন্ডারের বের হয়ে আসা ও চোরাশিকারের বাড়াবাড়ি নিয়ে চিন্তিত পশুপ্রেমীরা। জঙ্গলের যে এলাকা থেকে গন্ডার বেরোচ্ছে সেখানে সৌর-বেড়া বসানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। চলতি আইনকে আরও কঠোর করার সুপারিশ করেছে টাস্ক ফোর্স।
|
স্কুল চলাকালীন মাইক বাজিয়ে দিনভর চলল সরকারি অনুষ্ঠান। স্কুল চত্বরে গ্যাস জ্বালিয়ে করা হল চা তৈরির আয়োজন। ছুটির মেজাজে দিন কাটল ছাত্রদের। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি হাইস্কুল লাগোয়া মাঠে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ আয়োজিত জলপাইগুড়ি জেলা শিক্ষা কর্মশালার এমনই ছবি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ওই কর্মশালা মঞ্চ থেকে ‘মানবিক দায়বদ্ধতা’ নিয়ে বক্তব্য রাখলেন। শুধু তাই নয়, ওই সরকারি অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের ভিড় এবং দলের নামে তোরণ, শহর জুড়ে দলীয় পতাকা দেখে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি মঞ্চ ব্যবহারের। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ধর্তিমোহন রায় অবশ্য বলেন, “ছাত্রদের অসুবিধা হচ্ছে। এমন কথা তো কেউ আমাকে বলেনি। স্কুলের ভিতরে চা তৈরি করার কথা নয়। আমরা শুধু ওঁদের শৌচাগার ব্যবহার করব বলেছি।” অভিভাবকদের অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশিক্ষণ শিবির এভাবে খোলা মাঠে হবে কেন? স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। প্রধান শিক্ষক শিবব্রত রায় বলেন, “স্কুল চলছে।” এদিকে সরকারি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ফুটবল ময়দানের কাছে তৃনমূলের নামে তোরণ তৈরি এবং দলীয় পতাকা দিয়ে আইল্যান্ডের রেলিং ঢেকে দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় আরএসপি বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনে অনুষ্ঠান হয়েছে। সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দলের নামে তোরণ হয়েছে। এমন খবর আমার কাছে নেই।” ময়নাগুড়ির আরএসপি বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী বলেন, “বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত আমন্ত্রণ পত্র পাইনি। সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করা হলে যা হয়।”
|
পোষা কুকুরদের নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। পিপলস ফর অ্যানিম্যাল-এর শিলিগুড়ি শাখার উদ্যোগে ৩ ফেব্রুয়ারি বাঘাযতীন পার্কে ওই অনুষ্ঠান হবে। রাস্তার কুকুর বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন এমন ৪টি পরিবারকে সংবর্ধনা জানানো হবে।
|
ফের ‘বেআইনি’ ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল বিধাননগরের পুর-প্রধান কৃষ্ণা চক্রবর্তীর ওয়ার্ড থেকে। বিজে ব্লকের একটি বাড়ির সামনের সজনে গাছ গোড়া থেকে কেটে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। চেয়ারম্যান পারিষদ দেবাশিস জানা বলেন, “খবর পেয়ে এক আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে। পুরসভার তরফে বিধাননগর পূর্ব থানার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”
|
ময়ূরের তাণ্ডবে এক ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছল মাদুরাই-শেনাকোঠা প্যাসেঞ্জার ট্রেন। আহত হলেন ট্রেনটির সহ-চালক। সরকারি সূত্রে খবর, ট্রেনটি ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বিরুধনগর জেলার তিরুথাঙ্গাল অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ছুটছিল। হঠাৎই একটি ময়ূর চলে আসে ট্রেনের সামনে। চালক গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ইঞ্জিনের কেবিনের ভিতর ঢুকে পড়ে ময়ূরটি। প্রচণ্ড আওয়াজে ভয় পেয়ে গিয়ে ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে সহ-চালককে আক্রমণ করে সে। ভেঙে ফেলে উইন্ডস্ক্রিনও। পরে অবশ্য মারা যায় ময়ূরটি। আহত চালক হাসপাতালে ভর্তি।
|