এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল খানাকুলের নতিবপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। আট জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম প্রশান্ত সাঁতরা বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে আরামবাগ আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতের ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজ-সহ গ্রামোন্নয়নের বিভিন্ন কাজে অনিয়ম অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় সাঁতরা পাড়ার একটি ক্লাবের কয়েক জন সদস্য। এ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁদের গোলমাল হয়। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা ছিল।
বুধবার বিকেলে মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপরে স্থানীয় ফেরিঘাটে কয়েক জন যাত্রীর কাছ থেকে পারাপারের জন্য ৫০ পয়সার বদলে ১ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। এ নিয়ে বচসার সময়ে প্রশান্ত সাঁতরা-সহ সাঁতরা পাড়ার কয়েক জন যুবক ঘাটে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই ঘাটটি বর্তমানে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবু পরামাণিকের অনুগামীরা ইজারা নিয়েছেন। বুধবার রাতে দেবু পরামাণিক ও তাঁর অনুগামীরা সাঁতরা পাড়ায় ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে হাজির হন। সে সময়ে দেবুকে প্রশান্ত ও আরও কয়েক জন মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গ্রেফতার করে প্রশান্তকে। তাঁর দাবি, “জোর করে ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করা হচ্ছিল। ক্লাবের ছেলেরা তার প্রতিবাদ করেছে।” গ্রামোন্নয়নে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শৈলেন সিংহ বলেন, “দুর্নীতি হয়েছে কিনা দলীয় ভাবে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।”
|
যুবককে খুনের দায়ে প্রতিবেশির ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন বিচারক। বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া ফার্স্ট ট্রাক আদালত (২)-এর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্রশান্তকুমার শীল এই রায় দেন। একই সঙ্গে দোষী ব্যক্তির ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছ’মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৮ সালের ১৪ মে খুনের ঘটনাটি ঘটে উলুবেড়িয়ার লালতেগড় গ্রামে। মৃত যুবকের নাম কমল মণ্ডল (৩২)। ওই রাতে কমল তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। কয়েক জন যুবককে সঙ্গে নিয়ে কমলের সামনে এসে পরেশ মণ্ডল আচমকাই তাঁকে গালিগালাজ শুরু করে। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। আচমকা একটি লাঠি দিয়ে কমলকে পেটাতে শুরু করে পরেশ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সক। পরেশ-সহ সাত জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরেশকে দোষী সাব্যস্ত করে বাকিদের রেহাই দেন বিচারক। এই মামলার সরকারি আইনজীবী অদৃত্ হাজরা বলেন, “পরেশের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। সেই ধারাতেই শাস্তি ঘোষণা হয়েছে।”
|
রিষড়ায় গুলিতে মৃত্যু যুবকের |
গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে রিষড়ার চারবাটি মোড়ে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ হিন্দমোটরের একটি নার্সিংহোম নিয়ে গেলে রাত ১০টা নাগাদ সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম মানিক (৪০)। সে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িত ছিল। দুষ্কৃতীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এই খুন বলে অনুমান পুলিশের।
|
হগলির ধনেখালিতে মৃত তৃণমূল নেতা শেখ নাসিরুদ্দিনের ময়না তদন্তে কারচুপি হয়েছে বলে রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ইমতাজ আলি শাহের কাছে বৃহস্পতিবার অভিযোগ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ও অমিতাভ চক্রবর্তী। অভিযোগ, নাসিরুদ্দিনকে থানায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মান্নান বলেন, “কমিশনের কাছে নাসিরুদ্দিনের দেহ কবর থেকে তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছি।” |