ত্রিপাক্ষিক চুক্তির প্রতিশ্রুতি ভিডিওকনে নিয়ে এল কিছুটা স্বস্তির হাওয়া।
সল্টলেক কারখানার খোলনলচে বদলে নতুন উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরির বিষয়ে রাজ্য সরকার, ভিডিওকন কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে একটি চুক্তি সই হওয়ার কথা শীঘ্রই। বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভিডিওকনের অন্যতম কর্ণধার পি এন ধুত ও তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বৈঠক করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হয়।
১৯৯৯ সালে ডাচ সংস্থা ফিলিপ্স-এর সল্টলেক কারখানাটি অধিগ্রহণ করে ভিডিওকন। ৯ কোটি টাকায় কিনে নেওয়া হয় ১১ একর জমির উপর এই কারখানা। তারাতলায় আর একটি কারখানা রয়েছে তাদের। সব মিলিয়ে রয়েছেন ৩০০-র বেশি কর্মী। এর মধ্যে সল্টলেকের কারখানায় কর্মী সংখ্যা ২০৫। আপাতত সল্টলেকের ওই কারখানাই ঢেলে সাজার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। এই খাতে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্তৃপক্ষ। আগামী এক বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তাঁদের দাবি।
এ দিনের বৈঠক শেষে শোভনদেববাবু জানান, শ্রমিক স্বার্থ বজায় রেখেই পরিকল্পনা তৈরি করেছে সংস্থা। তিনি বলেন, “কারখানায় নির্মাণ কাজ চলাকালীন সব কর্মীর রোজ আসা জরুরি নয়। কিন্তু বেতন ও অন্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মিলেছে। এ ছাড়াও নতুন যন্ত্রপাতি বসানোর পরে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।” এ সব খুঁটিনাটি মাথায় রেখেই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি তৈরি হবে বলে তাঁর দাবি। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই চুক্তি সই হবে। এ দিন সেই চুক্তির খসড়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাঁদের।
গত ১৫ মাস সল্টলেক কারখানায় উৎপাদন হয়নি। তারাতলা কারখানাও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। সল্টলেকে তৈরি হত সাবেকি রঙিন টেলিভিশন। ভিডিওকন কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ধরনের টেলিভিশনের বাজার তলানিতে ঠেকেছে। বাজারের নিয়ম মেনেই তাই সেখানে এলসিডি টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা বাস্তবায়িত করতে উৎপাদন ব্যবস্থা আমূল বদলাতে হবে।
তবে সংস্থা ঢেলে সাজার পরিকল্পনা নিয়ে এখনও সংশয়ে কর্মীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, কারখানায় হাজিরা দেওয়ার নতুন যে ‘রোস্টার’ বা সারণি বেরিয়েছে, তাতে সব কর্মীর নাম নেই। যদিও সংস্থার দাবি, ওই কর্মীদের বেতন নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। |