বাড়ির পাশেই সর্ষে খেত। বুধবার সেখানেই পড়েছিল বছর আটেকের মামনি মণ্ডল। হাত দু-টি পিছমোড়া করে বাঁধা। নিম্নাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত। দেখেই বোঝা যায় প্রবল আক্রোশে কেউ এ কাজ করেছে।
চাপড়ার ডোমপুকুর-নওদাপাড়ার ওই বালিকা খুনের পিছনে কারণ অবশ্য এ দিন স্পষ্ট হয়নি। তবে পুলিশের একাংশ মনে করছেন গ্রামেরই কেউ এ কাজ করেছে। পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ কাউকেও সন্দেহের উর্ধ্বে রাখছেন না তদন্তকারীরা। তদন্তে সকালেই এসেছিল পুলিশ-কুকুর। ঠিক পুলিশ নয়, বিএসএফের ১১৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের মোনা নামের প্রশিক্ষিত কুকুরই তড়িঘড়ি এনেছিলেন পুলিশ কর্তারা। একটি বাড়ির চারপাশে বার কয়েক ঘোরাঘুরি ছাড়া সে অবশ্য বিশেষ সুরাহা দিতে পারেনি।
তবে পুলিশের অনুমান, খুনি ওই শিশুর পরিচিত। না হলে তার সঙ্গে বাঁশ বাগান পেরিয়ে সর্ষে খেতের দিকে যায় ওই এক রত্তি মেয়েটি! এমনই বলছেন তার পরিজনেরাও। শিশুটির কানের দুল দু’টো অবশ্য খুলে নিয়েছে হত্যাকারী। তবে এসবই তদন্তকারীদের ধোঁকা দিতে। তাকে যে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তা স্পষ্ট। |
মঙ্গলবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল মামনি। গভীর রাত পর্যন্ত গ্রামবাসীরা খোঁজ করলেও সন্ধান মেলেনি। বুধবার সকালে ফের খোঁজাখুজি শুরু হতেই মৃতের দাদা নাজমুল তার বোনের ওই ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। শিশুটির বাবা জান্দার মণ্ডল পেশায় লছিমন চালক। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে মেয়ের কোনও খোঁজ পাইনি। গ্রামে তো আমার তেমন কোনও শত্রু নেই। কে এত বড় ক্ষতি করল বুঝে উঠতে পারছি না।”
জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমন মিশ্র বলেন, “এটি নৃশংস হত্যা। সমস্ত সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।” তবে পুলিশ কুকুর গ্রামেরই একটি বাড়ির আশপাশে দীর্ঘক্ষণ ঘোরাফেরা করতে থাকায় তদন্তে সুবিধা হয়েছে বলে মন্তব্য পুলিশ অফিসারের। তাঁদেরই এক জন জানান, কুকুরটি প্রথমে মাঠের ভিতর দিয়ে পাশের হালদার পাড়ায় যায়। চারপর ফিরে এসে একটি নির্দিষ্ট বাড়ির চারপাশে ঘোরাফেরা করতে থাকে। |