|
|
|
|
ধৃত প্রধানের ছয় দিনের জেল হেফাজত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
তৃণমূলকর্মীকে মারধরের অভিযোগে ধৃত সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান পূর্ণচন্দ্র ঘোড়ইকে ছয় দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। বুধবার তমলুকের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এই নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ণচন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে তৃণমূলকর্মীকে মারধরের অভিযোগের পাশাপাশি সোনার হার ও নগদ দেড় হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির রঘুনাথপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে দুর্নীতির অভিযোগ এনে স্মারকলিপি কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির। কিন্তু তার আগেই দুপুরে তৃণমূলের স্থানীয় বুথ কমিটির সভাপতি স্বপন পট্টানায়েককে সিপিএম প্রধান পূর্ণচন্দ্রবাবু-সহ দলের কয়েকজন আটকে ব্যাপক মারধর করে জিনিসপত্র ছিনতাই করেন বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয় লোকজন স্বপনবাবুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। এর পর বিকালে পঞ্চায়েত অফিসে স্মারকলিপি দিতে যাওয়া তৃণমূল সমর্থকদের উপর প্রধান পূর্ণচন্দ্রবাবুর মদতে ফের সিপিএম কর্মীরা ইট-পাটকেল ছোড়ে বলে অভিযোগ। এতে এক মহিলা-সহ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক আহত হন। ঘটনার জেরে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূল সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান। সমর্থকদের বিক্ষোভের জেরে প্রধান পূর্ণচন্দ্রবাবু-সহ বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য আটকে পড়েন। পরে সন্ধ্যায় তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে পূর্ণচন্দ্রবাবুকে গ্রেফতার করে। এ দিন আদালত চত্বরে পূর্ণচন্দ্রবাবু অবশ্য বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তৃণমূল পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আমাকে গ্রেফতার করিয়েছে।” তৃণমূলের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিভাস কর বলেন, “পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে প্রধানের দুর্নীতি নিয়ে আমাদের কর্মীরা মঙ্গলবার স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল। কিন্তু, তার আগেই প্রধান পূর্ণচন্দ্রবাবু দলের লোকজন নিয়ে আমাদের দলের স্থানীয় বুথ সভাপতিকে মারধর করে ও তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা, সোনার হার ছিনতাই করে। স্মারকলিপি দিতে গেলে ফের পঞ্চায়েত অফিসের সামনে সমর্থকদের আক্রমণ চালায় পূর্ণচন্দ্রবাবুর মদতে পুষ্ট লোকজন। এই বিষয়ে পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে।” |
|
|
|
|
|