|
|
|
|
বিরোধীদের বিঁধতে ফের কুকথা শিশির-শুভেন্দুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
রাজনৈতিক কুৎসার ধারাবাহিকতা চলছেই। বুধবার কাঁথি অরবিন্দ স্টেডিয়ামে দলীয় জনসভায় ফের বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের আক্রমণ করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের দুই তৃণমূল সাংসদ শিশির ও শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে ‘অভিযোগকান্ত মিশ্র’ অভিহিত করে রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওঁর এখন একমাত্র কাজ সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত নারী নির্যাতন আর ধর্ষণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বিবৃতি দেওয়া।” বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের নাম করে তাদের সম্পর্কে দলীয় কর্মীদের সজাগ ও সচেতন থাকারও পরামর্শ দেন শুভেন্দু। কাঁথির সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী সিপিএম নেতা রেজ্জাক মোল্লাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘নাটবল্টু আঁটা অবস্থায় যে ভাবে তিনি ভাঙড়ের উদ্দেশে যাত্রা করলেন, দেখে মনে হচ্ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ জিতে যাচ্ছেন।” শিশিরবাবু আরও বলেন, “বিমল গুরুঙ্গকে পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা দার্জিলিং রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে ঘোষণা করেছেন। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপিআর কারও ক্ষমতা নেই এমন কথা বলার। বাপের বেটির মতোই এই ঘোষণা করেছেন মমতা।” সভায় শিশির, শুভেন্দু ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী, ফিরোজা বিবি, সমরেশ দাস, জেলার সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, কাঁথির পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী প্রমুখ। |
|
সভায় শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: সুব্রত গুহ। |
এ দিকে, জনসভার জন্য এ দিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাঁথি শহরের মধ্যে সমস্ত রকমের যানবাহন এমনকী রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এর ফলে হয়রানি হয় শহরবাসীর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাঁথির এক বাসিন্দা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি শহরে এলে না-হয় বুঝতাম। কিন্তু এলাকারই দুই নেতার জন্য যে ভাবে ব্যারিকেড করে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল, বাস বাইপাসে ঘুরিয়ে দেওয়া হল, তা কোনও ভাবেই মানা যায় না।” কাঁথি থানার আইসি সোমনাথ দত্ত অবশ্য বলেন, “সভার জন্য বাইরে থেকে প্রচুর গাড়ি এসেছিল শহরে। বিভিন্ন পথ দিয়ে মিছিলও ঢোকে। যানজট এড়াতেই শহরের মধে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।” এ দিন কাঁথি শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট জুড়ে তৃণমূলের ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুন ছেয়ে ছিল। মোড়ে-মোড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিশির অধিকারী আর শুভেন্দু অধিকারীর বিশাল কাট আউট। স্টেডিয়ামে না গিয়েও কাঁথির মানুষ যাতে বাড়িতে বসে সভায় নেতাদের বক্তব্য শুনতে পান তার জন্য স্থানীয় কেবল চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। রাস্তার দু’ধারে মাইক বাঁধা হয়। অরবিন্দ স্টেডিয়ামে যাওয়ার মুখে কাঁথি মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরও দলীয় পতাকা আর ব্যানারে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই নিয়ে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডা অভিযোগ জানালে অবশ্য কাঁথি মহকুমাশাসকের অফিস চত্বর থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ও ব্যানার খুলে নেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|