টুকরো খবর
পণ্য-পরিষেবা কর চালুর পথে বাধা হতে পারে রাজনীতি
রাজ্যগুলিকে বিক্রয়কর খাতে ৩৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি পুষিয়ে দেবে কেন্দ্র। কিন্তু তার পরেও পণ্য-পরিষেবা কর চালু করে মনমোহন -চিদম্বরম কর ব্যবস্থার সংস্কারে সফল হবেন কি না, তাতে সংশয় থাকছে। সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব তথা অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের ধারণা, বিজেপি কোনও ভাবেই চায় না, ২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগে ইউপিএ সরকার পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলুক। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী রাঘবজি বলেন, “২০১৪-র লোকসভা ভোটের পর নতুন সরকারের হাতেই জিএসটি নিয়ে সিদ্ধান্তের অধিকার থাকা উচিত।” রাঘবজির এই বক্তব্যেই স্পষ্ট, কেন্দ্রের আশঙ্কা অমূলক নয়। জিএসটি চালু হলে শিল্পমহল ও ব্যবসায়ীদের সাধুবাদ কুড়োতে পারবে সরকার। বাদল অধিবেশনেই এ জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল আনতে চাইছেন অর্থমন্ত্রী। ঠিক হয়েছে জিএসটি চালু হলেও কিছু রাজ্য চাইলে তার বাইরে থাকতে পারে। একটি ন্যূনতম হার ঠিক হবে। কোনও রাজ্য চাইলে তার থেকে সামান্য বেশি হারেও কর বসাতে পারে। অথচ জিএসটি-র মূল মন্ত্রই ছিল সারা দেশে অভিন্ন হারে কর চালু করা। তবে কেন্দ্র মনে করছে, বাকি রাজ্যগুলি যখন দেখবে জিএসটি চালু করে অন্য রাজ্যগুলি লাভবান হচ্ছে, তখন তারাও যোগ দেবে। কিন্তু ‘কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’-এর প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল বলেন, “রাজ্যে রাজ্যে ভিন্ন ব্যবস্থা থাকলে ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হবে।” এমপাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী অবশ্য বলছেন, সবাইকে রাজি করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, বিজেপির বড় অংশই ইউপিএকে জিএস টি-র কৃতিত্ব দিতে নারাজ। তাই বিজেপি রাজ্যগুলিই মূলত বেঁকে বসছে। ২০১৪-র এপ্রিল থেকে জিএসটি চালু না-হলে ফের বিক্রয়কর বসাতে চাইছে তারা।

স্পেকট্রামের দর কমাতে আর্জি জিএসএম সংস্থারও
আসন্ন নিলামে সিডিএমএ-র মতো জিএসএম পরিষেবার জন্যও স্পেকট্রামেরও ন্যূনতম দর কমানোর দাবি উঠল। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সংগঠন সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সিওএআই) এই দাাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বলকে চিঠি দিয়েছে তারা। স্পেকট্রামের চড়া দরের কারণেই প্রথম দফার নিলাম পর্ব মুখ থুবড়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ টেলিকম শিল্পের। আগামী মার্চে দ্বিতীয় দফার নিলামের আগে সিডিএমএ স্পেকট্রামের দর ৫০%, ১৮০০ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রামের দর দিল্লি, মুম্বই, রাজস্থান ও কর্নাটকে (প্রথম নিলামে যেখানে কেউ অংশ নেয়নি) ৩০% ও ৮০০ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রামের দর ৫০% কমিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিপ্রেক্ষিতে সিওএআই-এর কর্তা রাজন ম্যাথুজের দাবি, যে ভাবে কেন্দ্র দর স্থির করেছে তা বৈষম্যমূলক। ১৮০০ ও ৮০০ মেগাহার্ৎজ-এর স্পেকট্রামের (যা জিএসএম পরিষেবায় ব্যবহৃত হয়) ন্যূনতম দর দেশের সব সার্কেলেই ৫০% হ্রাসের দাবি তুলেছেন তাঁরা। না-হলে পরে দর কমবে, এই আশায় অনেকেই অংশ নেবে না। ফলে দ্বিতীয় নিলামও মুখ থুবড়ে পড়বে বলে সংশয় তাঁর। সি ও এ আই-এর অভিযোগ, সিডিএমএ পরিষেবায় ব্যবহৃত ৮০০ মেগাহার্ৎজ-এর স্পেকট্রাম জিএসএম পরিষেবার চেয়ে অনেক উন্নত। তাই জিএসএম স্পেকট্রামের দর সিডিএমএ-র চেয়ে কম হওয়া উচিত।

সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধই, সুনসান ঘোজাডাঙা

ফাঁকা দোকানে খরিদ্দারের আশায়। ছবি: নির্মল বসু।
ট্রাক থেকে মাল খালাসের তাড়া নেই। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় খাবার দোকান, হোটেলে নেই ভিড়। বেসরকারি মুদ্রা বিনিময়কেন্দ্রগুলিও মাছি তাড়াচ্ছে। ১৩ দিন ধরে বর্হিবাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ থাকায় বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তের এখন এটাই ছবি। রোজই বাণিজ্য চালু হওয়ার আশায় ভিড় করেন শ্রমিকেরা। কিন্তু দিনের শেষে হতাশই হতে হচ্ছে তাঁদের। উত্তর ২৪ পরগনায় পেট্রাপোলের পরেই দ্বিতীয় স্থলবন্দর ঘোজাডাঙায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে সীমান্ত বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ। সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের ভোমরায় সমস্ত পণ্যবাহী ট্রাকের মাল খালাসের দাবিকে কেন্দ্র করেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহির্বাণিজ্য। কিন্তু এতদিন ধরে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় লরি সমিতি, ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন, ঘোজাডাঙা ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ ইন্দো-বাংলা বৈদেশিক বাণিজ্য সমন্বয় কমিটি বসিরহাট থানার আইসি এবং এসডিওর কাছে বিষয়টি নিয়ে তদ্বিরের জন্য আবেদন জানিয়ছেন। বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘‘সীমান্ত বাণিজ্য যাতে দ্রুত চালু হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।”

ঋণে সুদ কমলো
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তের জেরে ঋণে সুদ কমাল ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক। বেস রেট ৫ বেসিস পয়েন্ট কমে হচ্ছে ৯.৭%। এর ফলে কমছে তাদের গাড়ি, গৃহঋণ ইত্যাদিতে সুদের হারও। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে গাড়ি ঋণে ৫০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সুদ কমাচ্ছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। চার চাকার যাত্রী ও বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে তা কমছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট। দ্বিচক্রযানে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। গাড়ি ঋণে সুদ কমাচ্ছে ফেডারেল ব্যাঙ্কও।

রিম-এর নাম বদলে এ বার ব্ল্যাকবেরি
নাম বদলে যাচ্ছে ব্ল্যাকবেরি ফোনের নির্মাতা কানাডার রিসার্চ ইন মোশন-এর। সংস্থা এ বার পরিচিত হবে বিশ্ব জুড়ে তাদের বহুল প্রচলিত স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ‘ব্ল্যাকবেরি’র নামেই। বুধবার কর্তৃপক্ষের দাবি, এটা ব্যবসা ঢেলে সাজারই অঙ্গ। এ দিকে, এ দিনই অ্যাপল আই ফোন ও গুগ্লের অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তি চালিত ফোনের সঙ্গে টক্কর দিতে নতুন ‘ব্ল্যাকবেরি ১০’ প্রযুক্তি চালিত স্মার্ট ফোন বাজারে আনল তারা।

যন্ত্র-বিভ্রাটে পণ্ড রিটার্ন দাখিল
ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক সেন্টার বা এনআইসি-তে ‘ওয়েব সার্ভার’-এর গতি মন্থর হয়ে যাওয়ায় বুধবার ‘ওয়েবিল’-সহ বিভিন্ন ধরনের রিটার্ন জমা দেওয়ার কাজ থমকে যায়। অথচ আজ, বৃহস্পতিবারই ভ্যাট, সিএসটি রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তা সম্ভব নয় বলে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র মহাকরণে বলেন, পরপর কয়েক দিন ছুটি থাকায় সার্ভারে লোড বেশি হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা বুধবার থেকে ওয়েবে রিটার্ন দাখিলের চেষ্টা করায় সমস্যা বেড়েছে। যাঁরা ভিন্ রাজ্য থেকে লরিতে পণ্য আনেন, তাঁরা ওয়েব-চালান পাচ্ছেন না। তাই বহু লরি রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.