সম্প্রতি শেষ হল উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত প্রাচীন ও বৃহত্তম কোচবিহার রাসমেলা। শ্রীশ্রীমদনমোহনের রাসযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত বৃহৎ মিলনমেলার এটি ছিল ২০০তম বছর। কোচবিহার মহারাজাদের রাজত্বকালে তাঁদের প্রচলন করা এই মেলা হয়তো আগেও আয়োজিত হত। সঠিক তথ্য অমিল। রাজ্যের ইতিহাসে যে তথ্যর উল্লেখ আছে তাতে জানা যায় মহারাজা হরেন্দ্র নারায়ণের রাজত্বকালে কোচবিহার রাজ্যের রাজধানী কোচবিহার শহর থেকে ২০ কিমি দূরে ভেটাগুড়ির আঠারোকোঠায় নির্মিত নতুন রাজপ্রাসাদে ১৮২১ সালে কার্তিক পূর্ণিমায় প্রবেশ উপলক্ষে মেলার প্রচলন হয়। সে হিসেবে রাসমেলার ২০০ বছর পূর্ণ হল এ বছর ২০১২তে। পরে আরও দু’বার রাজধানী বদল হয়ে এখন কোচবিহার শহরে এই মেলা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ বছরের মতো মেলা শেষ হলেও যেমন সব শেষের একটা শুরু থাকে তেমনই কোচবিহারের শ্রীশ্রীমদনমোহন বিগ্রহ দেবতা, যাকে উপলক্ষ করে এই মেলা আবর্তিত হচ্ছে প্রতি বছর, তার একটা প্রস্তুতির কিছু বর্ণনা দেওয়া যাক। |
স্নান করানো হচ্ছে মদনমোহনকে। ছবি তুলেছেন কল্পনা চক্রবর্তী। |
রথযাত্রার (আষাঢ় মাসের) যে একাদশী অর্থাৎ শয়নৈকাদশীর দিন শ্রীশ্রীমদনমোহন শয়নে যান এবং রাসপূর্ণিমার আগের একাদশী (উত্থানৈকাদশী) অগ্রহায়ন মাসে শ্রীশ্রীমদনমোহনের শয়ন থেকে উত্থান হয়। সে দিন চিরাচরিত প্রথা মেনে শ্রীশ্রীমদনমোহনের মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মন্দিরের সহকারী দেউড়িদের সাহায্যে মন্ত্রপাঠ সহযোগে মদনমোহন বিগ্রহকে ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করান। তাতে বিভিন্ন সমুদ্র, নদী, ঝরনা, ডাব ইত্যাদির জল যেমন থাকে, তেমনই মধু, ঘি, চন্দন, দুধ ইত্যাদি নানান উপচারও থাকে। রাজ আমল থেকে চলে আসা প্রথাগত অনুষ্ঠানের পর দেবতাকে নতুন বস্ত্রে সজ্জিত করে সিংহাসনে স্থাপন করা হয় মন্ত্রপাঠ ও পূজার মাধ্যমে। শুরু হয়ে যায় শত শত বছর ধরে চলা এই রাসমেলা। নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, কোচবিহার
|
প্রায় নীরবেই চলে গেলেন তিনি। ডুয়ার্সের আদিবাসী সমাজের ‘পাহান’ (পুরোহিত)। কর্মজীবন শুরু চালসায় চা-বাগিচার শ্রমিক হিসেবে। পরবর্তী কালে কৃষি বিভাগে যোগ দেন। অবসরের পর ডুয়ার্সের আদিবাসী সমাজসংস্কৃতি প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিলেন তিনি। মানুষটি বাবুলাল কুজুর। মাতৃভাষা কুরুথংয়েই লিখে গেছেন প্রায় দু’শোটির মতো কবিতা। হামরেকের দিলগী, ভোটরঙ্গ, আহিরেময় তাঁর সাদরী ভাষায় রচিত নাটকগুলির মধ্যে অন্যতম। রাজ্য সরকার আয়োজিত একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েক বার প্রথম স্থান অধিকার করে নেয় তাঁর লেখা নাটকগুলি। সম্পাদনা করতেন সাদরি ভাষার সাহিত্য পত্রিকা ‘সাঁঝ বিহান’। নিজস্ব নৃতগীতের দল ‘কারাম’ নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন উত্তরবঙ্গের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। |
আদিবাসী সমাজের কাছে নৃত্যগুরু হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন নিজেকে। নাটক প্রযোজনা ও নির্দেশনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মশালায় প্রশিক্ষের ভূমিকায় দেখা যেত তাঁকে। এ ছাড়াও করম পূজার উৎসব, পূজার গান ও করম সংক্রান্ত লোকাচার সম্পর্কে তাঁর সুচিন্তিত ভাবনা ডুয়ার্সের আদিবাসী সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। করম উৎসবের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বারবার। এখানে শেষ নয়। তাঁর লেখা ও পরিচালনায় মুক্তিপ্রাপ্ত ছায়াছবি ‘সাঁঝ বিহান’।
ডুয়ার্স তথা উত্তরবঙ্গের অনন্য আপনজন বাবুলাল কুজুর গত জানুয়ারিতে প্রয়াত হন। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দীপক কুমার রায়ের উদ্যোগে প্রকাশিত হতে চলেছে তাঁর লেখা ‘আদিবাসী সমাজ ও সংস্কৃতি’ নামক গ্রন্থটি।
|
পরিচয় জেনারেল ইন্সিওরেন্স কর্পোরেশনের কর্মী। জলপাইগুড়ি বইমেলায় জন্মলগ্ন থেকে মেলায় আসেন প্রতি বছর। বিভিন্ন স্টলে গিয়ে বই বেছে রাখেন। মেলার শেষ দিনে রিকশায় চাপিয়ে সেই বই নিয়ে যান বাড়িতে। প্রতি বছর কত টাকার বই কেনেন শহরের ভাস্করউদয় ঘোষ? ৫০-৬০ হাজার টাকার! বইয়ের টানে হাজির থাকেন শিলিগুড়ি, শান্তিনিকেতন আর কলকাতার বইমেলায়। সাহিত্য আর দর্শনের বই পড়তে বেশি ভাল লাগলেও অন্য বইতেও অরুচি নেই। গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ২৫ হাজার। সারা দিনের কাজ সামলে কখন বই পড়েন ভাস্করউদয়? শুরু রাত সাড়ে দশটায়। আর শেষ? বইপোকা বলেন, “তা সকাল ৪টে সাড়ে ৪টে বেজে যায়। |
লেখা পাঠান নাম ও সম্পূর্ণ ঠিকানা লিখে। |
|