জলসাই তো শিল্প, কটাক্ষ নিরুপমের
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
মুখ্যমন্ত্রীই যখন উৎসবকে শিল্প বলছেন, তা হলে আর প্রকৃত শিল্পের অগ্রগতির আশা কোথায়! আক্ষেপ প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের। উত্তরবঙ্গে গিয়ে সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসবকে শিল্পের মর্যাদা দিয়েছিলেন। শ্যামনগরে যুগের প্রতীক মাঠের কাছে সিপিএমের এক সভায় সে দিকেই ইঙ্গিত করে মঙ্গলবার নিরুপমবাবু বলেছেন, “জলসাই এখন এই রাজ্যের শিল্প! উৎসবের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে আর রাজ্যে শিল্পের অগ্রগতি নেই!” ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বন্ধ কলকারখানা খোলার প্রতিশ্রুতির কী হল, প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “যখন সরকারে ছিলাম, জমির সঙ্কট ছিল। তার মধ্যেও কী ভাবে কাজ করা যায়, ভেবেছি। সাধ্যমতো করেছি। ক্ষমতায় আসার সতেরো মাসের মধ্যেই উনি বলছেন ৯৯% কাজ করে ফেলেছেন! আবার বলছেন টাকা নেই!”
|
তিন উপনির্বাচনে সংখ্যালঘু জোটই |
তিন কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য শেষ পর্যন্ত জোটই বাঁধল সংখ্যালঘু-প্রধান দলগুলি। তিন কেন্দ্রেই মূলত মুসলিম ভোট একজোট করতে নিজেদের প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ইউডিএফ। সিদ্দিকুল্লার বক্তব্য, তাঁদের সমর্থন করবে আরও দু’টি সংখ্যালঘু-প্রধান দল এসডিপিআই এবং ডব্লিউপিআই। যারা জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আলাদা প্রার্থী দিয়ে বেশ কিছু ভোট পেয়েছিল। নলহাটি ও ইংরেজবাজারে এ বার ইউডিএফ প্রার্থী হচ্ছেন নুরুল হুদা ও ইকবাল হোসেন। রেজিনগর কেন্দ্রে রয়েছে আবু বক্কর ও নূর মহম্মদের নাম।
|
বিজেপি এবং অন্যান্য মৌলবাদী শক্তি বাদ দিয়ে অন্যান্য দলের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে সমঝোতার সিদ্ধান্ত স্থানীয় সমীকরণের উপরেই ছেড়ে রাখল পিডিএস। কল্যাণীতে দলের সদ্যসমাপ্ত রাজ্য সম্মেলনে এই মর্মেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ জোট তৈরি করে পঞ্চায়েতে লড়াই করার পরিস্থিতি আছে কি না, তা বিবেচনার ভার স্থানীয় নেতাদেরই দিয়ে রেখেছেন পিডিএস নেতৃত্ব। |